সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও টাকা লেনদেনে ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণকে সতর্ক হতে হবে :ডিবি

সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও টাকা লেনদেনে ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণকে সতর্ক হতে হবে :ডিবি

Generic placeholder image
  Ashfak

টাকা লেনদেনে ব্যবসায়ীদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সেই সাথে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলশি কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ছিনতাইকারী অথবা ডাকাত চক্রের সোর্সরা রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে রয়েছে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষসহ সর্ব সাধারণকে আরও বেশি সর্তক থাকতে হবে। ২৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ এসব কথা বলেন। তিনি আরো জানান, গত ১৩ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী কেরামত আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দড়িগাঁও বাজারে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাগে করে নগদ ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে পিকআপ যোগে আব্দুল্লাহপুরের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উদ্দ্যেশে রওনা করেন। পথিমধ্যে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত ব্যবসায়ী কেরামত আলীর গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকাগুলো ছিনিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেরামত আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে ঢাকা জেলা পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই্ ৩৯;র পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছিল ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালী জোনালের একটি চৌকস টিম। ওই ঘটনায় গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার সাভার থানার কাউন্দিয়া, পটুয়াখালী সদর থানা ও ঢাকা মহানগরীর কাজলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সোহাগ মাঝি, মো. দেলোয়ার, মো. জয়নাল হোসেন, মো. সোহেল, মো. জনি এবং মো. আজিজ। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা, একটি হায়েস মাইক্রোবাস এবং একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি করার জন্য বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ডিবি পুলিশ, সিআইডি, র‌্যাবের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান করে। তারা ব্যবসায়ীসহ অর্থ লেনদেনকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ কওে এবং যেসব জায়গায় সিসি ক্যামেরা নেই এরকম নিরিবিলি জায়গায় সুযোগ বুঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের গতিরোধ করে। এরপরে ভুক্তভোগীদের নামে মামলা অথবা গ্রেফতারী পরোয়ানা আছে বলে টাকার ব্যাগসহ গাড়ীতে তুলে নেয়। ডাকাতরা তাদের সুবিধা মতো জায়গায় টাকা অথবা মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে তারপর নির্জন এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

ডাকাতির আগে তারা ঘটনাস্থল নির্ণয়ের জন্য মোটর সাইকেল এবং ভুক্তভোগীর গতিরোধ করে ডাকাতি করার কাজে মাইক্রোবাস ব্যবহার করে থাকে। এসব ঘটনা থেকে বাঁচতে টাকা লেনদেনে ব্যবসায়ীদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলশি কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।

সিনি: স্টাফ রিপোর্টার, মৃণাল চৌধুরী সৈকত
 

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)