বিশ্ব ইজেতমা ময়দানে দ্বিতীয় দিনের বয়ান চলছে
ঐতিহ্যবাহী টঙ্গীর কহর দরিয়া তুরাগ নদের তীরে শনিবার ২১ জানুয়ারি বাদ ফজর বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি। রোববার ২২ জানুয়ারী আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে দ্বিতীয় পর্ব তথা এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা। শনিবার বাদ ফজর ভারতের মাওলানা ইয়াকুব নিজামুদ্দিনের বয়ানের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তিনি হিন্দি ভাষায় বয়ান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করছেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। বয়ান করেন যারা : একই দিন বাদ জোহর বয়ান করবেন মাওলানা ওমর তুর্কি। বাদ আসর বয়ান করবেন মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ এবং বাংলায় তা তরজমা করবেন মুফতি ওসামা ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন মাওলানা আব্দুস সাত্তার নিজামুদ্দিন, বাংলায় তরজমা করবেন মুফতি জিয়া বিন কাসেম। ইজতেমা ময়দানে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ চেয়ে সঠিক পথে চলার তৌফিক চান কিন্তু তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিদের কারণে ইজতেমার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই এমনটাই দাবী করেন অনেক মুসল্লি। সকল বিভেদের অবসান ঘটিয়ে বিশ্ব মানবতার কল্যানে সকল মুসলমান দ্বীনের পথে আসবেন প্রত্যাশা সকলের। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। টঙ্গীর কহর দরিয়া তুরাগ তীরে শুক্রবার ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে সুন্দর ও শান্তি পূর্ণভাবে ১৫ জানুয়ারী আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। ৪ দিন বিরতি দিয়ে শুক্রবার ২০ জানুয়ারী শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা। দ্বিতীয় পর্বের নেতৃত্বে আছেন, তাবলীগ জামাত নয়াদিল্লির মুরুব্বি মাওলানা সাদ পন্থী অনুসারী মুসল্লিরা। প্রশাসনের কাছ থেকে ময়দান বুঝে নেওয়ার পরপরই দেশ-দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। তারা ময়দানের নির্দিষ্ট খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লিদের জন্য দুই দিন আগে থেকেই প্রাথমিক আম বয়ান শুরু হয়। ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার ২০ জানুয়ারী বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে বিশ^ ইজতেমা ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ২০২০ সালে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ২০২১ ও ২০২২ সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ইসরাইল, ফিলিস্থিনি ও ভারতের শীর্ষ ৭৭ আলেমসহ বিদেশি মেহমান : কোভিড-১৯ করোনা মহামারির কারণে বিশ^ ইজতেমা দুই বছর বন্ধ থাকায় এ বছর বিদেশী মেহমানের সংখ্যা অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই বেশী। ফলে বিদেশী মেহমানদের সহযোগিতার জন্য সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থাকছেন বাংলাদেশী মুসল্লিরা। বিশে^র বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০টি দেশ থেকে ৮ হাজারের বেশী বিদেশী মেহমান দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় এসেছেন। এদের মধ্যে ইসরায়েলের ৪১ জন মুসল্লি রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মো. সায়েম। মো. সায়েম বলেন, ৪১ জন ইসরায়েলি মুসল্লি ময়দানে আছেন। আগত মুসল্লিরা সরকারের বিশেষ ব্যবস্থায় ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই দ্বৈত নাগরিক। ময়দানের উত্তর-পশ্চিমাংশে বিদেশীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইসরায়েলি মুসল্লিরা অবস্থান করছেন। এ ছাড়া ৫জন ফিলিস্থিনি মুসল্লি রয়েছেন বলে বিভিন্ন জানা গেছে। এছাড়া ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাদ কান্ধলভীর তিন ছেলেসহ প্রায় ৫০ জনের এক জামাতে ভারতের ৩১ জনের বেশি বিশিষ্ট আলেম রয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বে ভারতের যেসব আলেম শরিক হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, মাওলানা আবদুস সাত্তার, মাওলানা জামশেদ, মাওলানা শামীম আজমি, মাওলানা চেরাগ উদ্দীন, মুফতি শাহজাদ কাসেমি, মাওলানা ওরম মেওয়াতী, মাওলানা রিয়াসাত আলি বিজনুরি, মুফতি জহির, মুফতি ফারুক, মুফতি আব্দুল ওয়াহাব, শ্রীলঙ্কা জমিয়তে উলামার সভাপতি ও তাবলীগের শূরা মুফতি রিজভী মুহাম্মদ। এদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর তিন ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্ধলভী, মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীও ময়দানে উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া মাওলানা উবায়দুল্লাহ বোয়ালভী রহ. এর সাহেবজাদা শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল আজীম সাহেব, মাওলানা হুসাম উদ্দীন কাসেমী, হায়দারাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মতিউর রহমান মাযহারী, মুফতি জহির বারাবাংকী, ভারতের ইসলামিক স্কুল বোর্ডের পরিচালক মাওলানা আশরাফ আজমী, লখনৌর বিখ্যাত দেওড়িয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি ইফতেখারুল হাসান নদভী, মুফতি শোয়াইব, মুফতি কমর নাসিম, শায়খুল হাদীস মুফতি রিয়াসত, শায়খুল হাদীস মাওলানা ফরিদ আহমদ কাসেমী, দেওবন্দ মাদরাসায়ে উম্মে মাকতুবের মুহতামিম মুফতি ফুরকান, দিল্লি জামিয়া মিল্লায়ার শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি ইব্রাহিম বুলন্দশহরী, শায়খুল হাদীস আব্দুর রশীদ হাফি, আসামের মাওলানা মনজুর আহমদ কাসেমী, দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক নাজিমে দারুল ইফতা মাওলানা আসাদ উল্লাহ সুলতানপুরী, নদওয়াতুল উলামার সুনামধন্য উস্তাদ মুফতি মাহবুব নদভী প্রমুখ। আগত মেহমানদের মধ্যে ইংরেজি ভাষাভাষী রয়েছেন ২ হাজার ৭৯৮ জন, উর্দু ভাষাভাষী ১ হাজার ৫৫০ জন৷ এছাড়া পশ্চিমবঙ্গেও বাসিন্দা ১ হাজার ৮৬৫ জনসহ পাকিস্থান, সৌদি আরব, ইসরায়েল, ফিলিস্থিন, মালদ্বীপ, নেপাল, জিবুতির মেহমানও রয়েছেন এ পর্বের ইজতেমায়। মাঠের এক পাশে কামারপাড়া সেতুসংলগ্ন একটি বিশাল তাঁবুতে রাখা হয়েছে তাদের। তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ইজতেমা আয়োজকদের পক্ষ থেকে। তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিশ^ ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের জন্য ১১টি ফ্রি হেলথ বুথ : চলছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এবারের পর্বে ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী ৮ হাজারের বেশি বিদেশী মেহমানের পাশাপাশি লাখ লাখ বাংলাদেশী ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ১১টি হেলথ বুথ স্থাপন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যেগুলো থেকে বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হচ্ছে৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি এসব বুথ এর মাধ্যমে হামদদ্ধসঢ়;, ইবনে সিনাসহ সেবা দিচ্ছে বিভিন্ন বে-সরকারী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং এনজিও সংস্থা। শনিবার ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা যায়, বুথে আসা বেশিরভাগ ডায়রিয়া এবং জ্বরের ওষুধ নিচ্ছেন। ফ্রি ওষুধ নিতে দীর্ঘ লাইন থাকলেও মুসল্লিদের মুখে কোন ক্লান্তির ছাপ নেই। প্রাথমিকভাবে এসব বুথ থেকে ওমিপ্রাজল, প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, অ্যামোস্কিসিলিন, ওরাল স্যালাইনসহ প্রায় ২০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে৷ টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তারেক হাসান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ফ্রি মেডিকেল বুথে আমাদের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট এবং একজন ফার্মাসিস্টের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে রোগীরা জ্বর, কাশি, সর্দি, ডায়রিয়া, বমি, শ্বাসকষ্ট ও উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসা পাচ্ছেন। তবে অবস্থা বুঝে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ৷ বেশী জরুরী হলে এ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদের ঢাকায় পাঠারো হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্বে ময়দানে ৫ মুসল্লির মৃত্যু : ঐতিহ্যবাহী টঙ্গীর কহর দরিয়া তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আরও ৪ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা ময়দানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকার কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন এলাকার মুসল্লি আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৫), রাজধানীর গুলিস্থানের বঙ্গবাজার এলাকার ব্যবসায়ী বোরহান (৪৮), শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার শুকুর মন্ডলের ছেলে আব্দুল হামিদ মন্ডল (৫৫) ও ঢাকা সাভারের বাসিন্দা আব্দুল আলীমের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৫৪) মারা গেছেন। বিশ্ব ইজতেমার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবু সায়েম জানান, শুক্রবার এশার নামাজের সময় জিকির করার সময় হঠাৎ অচেতন হয়ে মারা যান ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ঢাকার কদমতলী থানার আব্দুল হান্নান। একই রাত ১১টায় টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গুলিস্থানের বোরহান। শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার আব্দুল হামিদ মন্ডল ও ঢাকা সাভারের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম এবং বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৫টার দিকে ইজতেমা ময়দানে বরগুনার আব্দুল আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান বলে আবু সায়েম জানান। বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি স্থগিত : এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নির্বিঘেœ চলাচল নিশ্চিত করতে শনিবার ২১ জানুয়ারি গাজীপুরে বাংলাদেশ স্কাউটসের অনুষ্ঠানে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী’র উপপ্রেস সচিব মো. হাসান জাহিদ তুষার শুক্রবার ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আসা লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির স্বার্থে গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ স্কাউটসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী’র পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার গাজীপুরের মৌচাক জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩২তম এশিয়া- প্যাসিফিক এবং ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরীতে প্রধানমন্ত্রী’র যোগ দেওয়ার কথা ছিল। রোববার ভোর থেকে বন্ধ যেসব সড়ক : মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাত রোববার ২২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এই দিন ভোর ৪টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ট্রাফিক নির্দেশনাকালে ডিএমপি জানায়, আখেরী মোনাজাত উপলক্ষে ২২ জানুয়ারী ভোর ৪টা থেকে প্রগতি স্বরণি ক্রসিং-আব্দুল্লাহপুর-ধউর ব্রিজ-আশুলিয়া ক্রসিং-মিরপুর মাজার রোড থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক, চিড়িয়াখানা থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক এবং পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়াও শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্য যে কোন ভারী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় স্বরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। ডিএমপি আরও জানায়, এ দিন সকালে আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় স্বরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান গুলোকে হোটেল র্যাডিসন গ্যাপে ডাইভারশন দেওয়া হবে। উল্লেখিত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলেছে ডিএমপি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিগুলোকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন দেওয়া হবে। উল্লেখিত যানবাহন গুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার, প্রগতি স্বরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলোকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নীচে লুপ-২ এ ডাইভারশন দেওয়া হবে। এই সড়কের যানবাহন গুলোকেও বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলেছে ডিএমপি। ডিএমপি আরও জানায়, ২২ তারিখ উত্তরার বাসিন্দা, বিমান যাত্রী ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল প্রকার যানবাহনের চালকদের বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় স্বরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ রোববার ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, দুটি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহন সার্ভিসের জন্য ভোর ৪টা থেকে মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা ময়দানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ইজতেমায় আসা বিদেশী মুসল্লিদের জন্য ট্যুরিস্ট সিম কার্ডের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মুসল্লিরা আমাদের কাছে সিম কার্ড চাইছেন। আমরা মুসল্লিদের এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করতে পারছি না। গাজীপুর মেট্র্র্র্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য : গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, ময়দান ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ রয়েছে। ইজতেমা এলাকায় প্রায় ১ হাজার ১০০ ট্রাফিক পুলিশ সদস্য সড়কে কাজ করছেন। ইসরায়েলের মুসল্লিদের ইজতেমায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ইসরায়েল থেকে আগত মুসল্লিরা ময়দানে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা ভিন্নভাবে আমাদের দেশে এসেছেন। তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। তাঁরা ধর্মীয় কাজে অংশ নিয়েছেন। ইজতেমা ময়দানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ইজতেমায় আসা বিদেশী মুসল্লিদের জন্য ট্যুরিস্ট সিম কার্ডের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মুসল্লিরা আমাদের কাছে সিম কার্ড চাইছেন। আমরা মুসল্লিদের এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করতে পারছি না।
মৃণাল চৌধুরী সৈকত, টঙ্গী