ইসরাইল-হিজবুল্লাহর মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি শুরু
ইসরাইল-হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় ১৪ মাস পর বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আপাতত ৬০ দিনের জন্য লড়াই বন্ধ হবে। এখনো ইসরাইলি সেনারা লেবানন ছেড়ে আসার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এরইমধ্যে লেবাননে যুদ্ধবিরতিকে বিজয় হিসেবে উল্লাস শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্টান্ডার্ড।
ইসরাইল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর লেবাননে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা নিজেদের এলাকাগুলোতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। যদিও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এখনই যেনো সরে না আসেন লেবানিজরা।
বুধবার বৈরুতের স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৪ টা অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যদিও ইসরাইলের সামরিক বাহিনী এবং হিজবুল্লাহ বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি ঘটবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে।
বলা যায়, ইসরাইলি সামরিক সতর্কতাকে উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল এবং গাড়িতে উপকূলীয় শহর টায়ারে ফিরে আসতে শুরু করেছে বেসামরিক মানুষরা। এ সময় অনেককে বিপুল আনন্দে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে।
এদিকে লেবাননের সেনাবাহিনী বুধবার জানিয়েছে, তারা দেশের দক্ষিণে মোতায়েন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তঘেঁষা গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িতে ফিরতে বিলম্ব করতে বলেছে।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, গত বছর গাজা যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এমন একটি সংঘাতের অবসানের পথ পরিষ্কার করতে মঙ্গলবারের যুদ্ধবিরতি চুক্তি।
বাইডেন বলেন, স্থায়ীভাবে শত্রুতা নিরসনের পরিকল্পনায় এই চুক্তি করা হয়েছে। হিজবুল্লাহসহ অন্য কোনো সশস্ত্র সংগঠন ইসরাইলের নিরাপত্তাকে আর হুমকির মুখে ফেলতে পারবে না।
তিনি আরও জানান, ৬০ দিনের মধ্যে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরাইল। একইসঙ্গে লেবাননের সেনাবাহিনী সীমান্ত অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে যাতে হিজবুল্লাহ তাদের দল পুনর্গঠন করতে না পারে।
এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত এবং হিজবুল্লাহর যে কোনও সীমালঙ্ঘনের জন্য জোরপূর্বক প্রতিক্রিয়া জানাবেন। একইসঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে ইসরাইলের আক্রমণ করার সম্পূর্ণ সামরিক স্বাধীনতা বজায় রাখবে।