যে কারনে মোদিকে অভিনন্দন জানায়নি পাকিস্তান
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের নেতা হিসেবে তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার(০৯ জুন) সন্ধ্যায় তিনি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথগ্রহণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ এরই মধ্যে বিশ্বের বহু দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কিন্তু প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এখনো অভিনন্দন বার্তাটুকুও পাঠায়নি নরেন্দ্র মোদিকে। পাকিস্তান কেন এখনো ভারতের নতুন সরকার বা নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানায়নি এ নিয়ে যখন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এতে মুখ খুলল ইসলামাবাদ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জহুরা বালোচ শনিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, আমরা ভারতের নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে ইচ্ছুক। আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করতে চাই।
কিন্তু যদি সত্যিই সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেই চায় পাকিস্তান, তাহলে মোদিকে অভিনন্দন জানালো না কেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজের কাছে জানতে চাওয়া হয় এ বিষয়ে।
তখন তিনি বলেন, দেশের নেতৃত্ব কে দেবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার। তাই ভারতের নির্বাচনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। যেহেতু নতুন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেয়নি, তাই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়ে কথা বলার এখন কোনো মানে নেই।
পাশাপাশি তিনি জানান, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখতে আলোচনার পক্ষপাতী। তার কথায়, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে সমস্যাসহ সব অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনার কথা বলছি।
আরও পড়ুনঃ নেতানিয়াহুকে বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করলেন এরদোগান
জম্মু-কাশ্মীর সমস্যাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে পাকিস্তান বরাবরই আলোচনার কথা বলে আসছে। বিপরীতে ভারত বারবার স্পষ্ট করেছে সন্ত্রাস বন্ধ না করলে কোনো আলোচনা নয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার দরজা কখনো বন্ধ করিনি। কিন্তু কথা হচ্ছে কীসের আলোচনা? যদি ওখানে সন্ত্রাসবাদীদের বহু শিবির থেকেই যায়, তাহলে সেটাই তো কথোপকথনের মূল বিষয় হওয়া উচিত।
টানা দেড় মাসের ভোটগ্রহণ শেষে গত মঙ্গলবার (৪ জুন) ফল ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ ২৯২ আসন জিতেছে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন।