দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আশুরার বিল ও শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যানে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে কয়েক বখাটে যুবকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কলেজছাত্রী (১৮)।
এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং তাদের গতকাল সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলো নবাবগঞ্জ উপজেলার শুগুনখোলা গ্রামের শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শাহিনুর (৩০), একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আজিম (৩১), ফতেহপুর মাড়ার গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে সাজেদুল ইসলাম সাজু (২১) ও একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে শাহারুল ইসলাম (২০)। এর মধ্যে শুগুনখোলা এলাকার মৃত খলিলের ছেলে রেজুয়ানুল (২০) পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বখাটে যুবকরা ওই কলেজছাত্রীর বন্ধুকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং কলেজছাত্রীকে শালবনের ভিতরে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় ওই ছাত্রীর বন্ধু রিয়াজুল ইসলাম সেখান থেকে পালিয়ে ৯৯৯-তে ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করেন। এর পরই নবাবগঞ্জ পুলিশ শালবনের ভিতর থেকেই ২ জনকে গ্রেফতার করে।
পরে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে। নবাবগঞ্জ থানার ওসি অশোক কুমার চৌহান জানান, সোমবার বিকালে নবাবগঞ্জের ইন্টারমিডিয়েটে পড়ুয়া বন্ধুর সঙ্গে আশুরার বিল ও শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যান বিরামপুরের এক কলেজছাত্রী।
বিলের পাশে দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু দেখার সময় বখাটে শাহিনুরের নেতৃত্বে কয়েক যুবক ওই ছাত্রীর বন্ধুকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং ওই কলেজছাত্রীকে শালবনের ভিতরে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর সহপাঠী রিয়াজুল ইসলাম সোমবার রাতে নবাবগঞ্জ থানায় ছিনতাই ও ধর্ষণের মামলা করেন। পরে থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করে। ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ধর্ষকদের চিহ্নিত করেন।
আরও পড়ুনঃ ডাকাতির পর স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ
এদিকে, শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান রক্ষা কমিটির সভাপতি মাহাবুর রহমান জানান, করোনার কারণে উদ্যানটি বন্ধ থাকার পরও কিছু দর্শনার্থী দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু দেখতে আসেন। সরকারিভাবে পর্যটকদের দেখভাল করার কোনো লোক না থাকায় এমন ঘটেছে। এ ঘটনায় কমিটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।