রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় খায়রুল নামের এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরিবার বলছে খুন, আর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রেমিকার বাবাই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে দাবি করে মামলা করেছেন খায়রুলের বাবা।
খায়রুলের মৃত্যুর পর থেকে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ বলছে, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খায়রুলের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এই যে আমার ছেলে চলে গেছে, আর তো ফেরত আসবে না। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীর শাস্তি চাই।
মাইলস্টোন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজনিন আহম্মেদ নিথীর সাথে ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক খায়রুলের। ২০ জুন বিকেলে নিথীর ফোন পেয়ে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার রসুলবাগের বাসায় যান তিনি। রাতেই দগ্ধ খায়রুলকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। তিনদিন পর তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে, বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয় খায়রুলের। তবে নিথির ৩ তলা বাসার পাশ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টেজের তারের শকে মৃত্যু হওয়ার কথা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আহত খায়রুল নিজেই টিনের চাল বেয়ে নেমে আসেন। জানান বাঁচার আকুতি।
গত ২৪ জুলাই খায়রুলের মৃত্যুর পর থেকেই নিখোঁজ নিথির বাবাসহ পুরো পরিবার। খাইরুলের এক বন্ধু জানিয়েছেন, খায়রুলকে ফোন করে বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর পরই পুরো পরিবারই পালিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জামিন নামঞ্জুর,কারাগারে সাবরিনা
খাইরুলের মৃত্যুর ঘটনায় ১ জুলাই বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আব্দুল কুদ্দুস। পুলিশ বলছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গুলশান থানার উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার বলেন, নিথীর বাবা-মা যে বাসায় তা টের পেয়ে পালাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক ভোল্টেজে পড়ে যায় খায়রুল। এ ঘটনার সুরাহা চান মৃতের পরিবার।