প্রাধ্যক্ষের মেয়াদ না থাকায় হল খোলার একমাসেও চালু হয়নি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিং। ফলে বাইরে থেকে উচ্চমূল্যে খাবার কিনে খাওয়াসহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, করোনার পর চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হল খুলে দেওয়া হলেও ডাইনিংয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগে সেসময় চালু করা হয়নি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিং। তবে জিনিসপত্র কেনার জন্য তালিকা করার পর সেখানে আর্থিক বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ স্বাক্ষর না করায় সেগুলো আর কেনা হয়নি। ফলে এখনো বন্ধ রয়েছে ডাইনিং।
ডাইনিং বন্ধ থাকায় বাহিরের হোটেলগুলো থেকে চড়ামূল্যে অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মনজুরুল ইসলাম নামে নজরুল হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের হলে এর প্রভোস্ট না থাকায় আমাদের ডাইনিং বন্ধ। আমাদের অনেকের এখন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে,ডাইনিং বন্ধ থাকায় বাইরের হোটেলগুলো থেকে নিয়মিত উচ্চমূল্যে খাবার কিনে খাওয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য খুবই কষ্টকর। যেখানে তাদের নুন আনতে পানতা ফুরোয়।
তবে আর্থিক বিষয়ে স্বাক্ষর না করার পেছনে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন ওই হলের প্রাধ্যক্ষ ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক।
এমদাদুল হক বলেন, ‘আমার মেয়াদ ১৯শে সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে আর্থিক বিষয়ে স্বাক্ষর করার আমার কোনো এখতেয়ার নেই।’
প্রাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে কেন নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না-এমন প্রশ্নে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড মো. আবু তাহের বলেন, ‘নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা আগামী ১৫ তারিখের (ডিসেম্বর) মধ্যে নতুন কাউকে নিয়োগ দিয়ে দিবো।’
ডাইনিং চালু হওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক তাহের বলেন, ‘ডাইনিং নিয়ে আমরা হলের বাবুর্চিদের সাথে কথা বলেছি। দু’দিনের মধ্যে আমরা ডাইনিং চালু করবো।’
নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে ব্যবস্থা করছি। শীগ্রই হলের প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দিবো।
চৌধুরী মাসাবি