ভারতের নয়াদিল্লিতে সহিংসতায় ৩ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। আড়াইশ এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে। জাফরাবাদ-মৌজপুর এলাকা থেকে শুরু হয় এ সহিংসতা।
জোহরাপুরী-ভজনপুরায় নতুন করে সহিংসতায় হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া জোহরাপুরীতে পুলিশের সঙ্গেও দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
রাতেও ভজনপুরা থেকে আটকে পড়া মানুষের ফোন এসেছে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে। গভীর রাতে ব্রহ্মপুরী ও মুস্তাফাবাদ থেকে খবর আসে, ফের সহিংসতা শুরু হয়েছে।
গত শনিবার থেকে জাফরাবাদেই নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরোধীরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। রবিবার থেকে পাল্টা ওই আইনের পক্ষে জমায়েত শুরু হয়।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার সতীশ গোলচা ঘোষণা করলেন, জাফরাবাদ, মৌজপুর সব এখন ফাঁকা। গোটা রাস্তাটাই এখন ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে।
সহিংসতায় অনেকেরই মাথায় গুরুতর চোট। আহতদের অন্তত ৪৬ জনের শরীরে বুলেটের ক্ষত মিলেছে। আর একটি উদ্বেগজনক বিষয়, মুস্তাফাবাদ থেকে আজ বেশ কিছু আহত এসেছেন হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির মসজিদের মিনারে হনুমানের পতাকা, দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ
তাদের অনেকের চোখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে। দৃষ্টি হারিয়েছেন চার জন। খুরশিদ নামে এক জনের দু’চোখই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
তেজ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে আসার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও পাননি তিনি। গিয়েছেন রিকশায়। দুই চোখ-সহ পুরো মুখ ঝলসে গিয়েছে ওয়কিলের।