যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ১২শ মানুষ বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছেন। কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হলেও তাদের অবাধ বিচরণে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আতঙ্কে তারা থানায় ফোন করলেও থানা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে জানাতে বলা হচ্ছে। আর তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হবে বলেই দায় সারছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা গেছে, ভাইরাসের সংক্রমণের পর উপজেলার বাঁকড়া এলাকায় অনেক নাগরিক ইতালি, মালয়েশিয়া, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাড়ি এসেছেন।
কিন্তু তারা সরকারি কোনো আইন না মেনে অবাধে হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পুলিশে খবর দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বাঁকড়া বাজারে ইতালি ও মালেয়শিয়া ফেরতদের দেখে থানায় ফোন করলে তারা ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য বিভাগে জানানোর কথা বলেছে।
এদিকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক প্রত্যেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সদস্য, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও তাদের সদস্যসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে জরুরি সভা করেছেন।
প্রত্যেক উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকতা ও প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের অধীনে একটি করে কমিটি গঠন করা হবে। তাদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুনঃ আইসোলেশনে থাকা যুক্তরাজ্যফেরত নারীর মৃত্যু
তিনি বলেন, গোটা উপজেলায় মোট ১২শ বিদেশফেরত মানুষ রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের তালিকা করবেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসে জমা দেবেন।
এই তালিকা পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নেব। সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এটা আমাদের ১৫ দিনের একটা চ্যালেঞ্জ।
এই চ্যালেঞ্জে আমাদের সকল নাগরিককে সহযোগিতা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জে ও সকলের সচেতনতায় হয়ত দেশ অনেক বড় ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।