রাজধানীর কদমতলীর একটি বাসায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই কিশোরী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
গতকাল বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- সোহেল বেপারী, রানা বেপারী ও আক্তার আলী। এর আগে রবিবার রাতে রাজধানীর গুলিস্তান থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের এক কিশোরীর বাবা নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। তারা জুরাইন মেডিকেল রোডের নোয়াখালী পট্টির একটি বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত ১০টার দিকে তার বাবা কাজে বের হন।
এ সময় ওই কিশোরী বাসায় একা ছিল। একা থাকতে সংকোচ বোধ করায় তার এক বান্ধবীকে ডেকে আনে। তার বয়স আনুমানিক ১৪। তখন ওই কিশোরী তার দুই ভাতিজা ও ভাতিজার বন্ধুও বাসায় ছিল।
রাত ১১টার দিকে সোহেল, রানা ও আক্তার তাদের বাসায় কড়া নাড়ে। বাসায় থাকা ওই কিশোরী দরজা খুলে দিলে তারা ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরপর দরজা আটকে দেয়। তারা কিশোরীর ভাতিজা ও তার বন্ধুকে মেরে পাশের রুমে আটকে রাখে।
আরও পড়ুনঃ
তারা একা বাসায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল- এমন ভয় দেখাতে থাকে। পরে হাত-পা মুখ বেঁধে সোহেল দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর রানা ও আক্তার পৃথকভাবে দুই কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে।
পরে রবিবার ভোর ৫টার দিকে তারা বেরিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর ভাবী কদমতলী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ দুই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।
কদমতলী থানার পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, কিশোরী দুজন বান্ধবী। তাদের দুজনকে বাসায় রেখে বাবা-মা বাইরে যান। ওই সময় তারা ধর্ষণের শিকার হয়। স্বজনদের অভিযোগ, দুই কিশোরীর একজনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল সোহেল।
সে বখাটে ধরনের হওয়ায় তারা ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। জানা গেছে, সোহেল, রানা ও আক্তার ভবঘুরে। সোহেল ও রানা কদমতলীর ভবানী বাগিচায় আক্তারের বাসায় ভাড়া থাকত।