ঢাকার বাড্ডায় একটি স্কুলে নিজের সন্তানকে ভর্তির খোজ খবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা গুজব রটিয়ে নিমর্ম ভাবে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয় তাসলিমা বেগম রেনুকে(৪০)।
গত শনিবার সকালের এ হত্যার ঘটনায় রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন।এ মামলায় অজ্ঞাত৪০০-৫০০ জনকে আসামী করা হয়।
নিহত তাসলিমা বেগম রেনু মহাখালীর ওর্য়ালেস গেইটে এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকতেন।মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাড্ডা থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন ,মামলার তদন্ত চলছে।জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
এদিকে রেনুর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।পরে লাশ দাফনের জন্য স্বজনরা গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে নিয়ে যায়।
এরই মধ্যে রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যা করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।ভিডিওতে দেখা যায়,রেনুকে স্কুলের অভিবাবক,উৎসুক জনতাসহ কিছু উশৃঙ্খল যুবক গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করছে।
আরও পড়ুনঃএবার ছেলেধরা সন্দেহে সাভারে গণপিটুনিতে নারীর মৃত্যু
বাকিরা দাড়িয়ে দেখছে,কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও করছে।৮-১০ মিনিট লাগাতার লাঠিপিটার পর আবার উপর্যপুরি লাফি মারা হয়।
প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় ছেলেধরা ভেবে গণপিটুনি দেওয়ার পর শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।