জমি দখলের অভিযোগে এক পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পিরোজপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুল হাই হাওলাদার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়ি দখল ও এক বৃদ্ধাসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা অভিযোগে এ মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে এ অভিযোগ এনে আব্দুল হাইকে ১নং আসামী করে নামীয় ১৭ জন সহ আরও অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন বৃদ্ধার ছেলের স্ত্রী মোসাম্মৎ ইতি ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সার্জিকেয়ার ক্লিনিকের সামনে একটি বসত বাড়ি জাল দলিল করে দির্ঘদিন দখলের পায়তারা করে আসছিলো কাউন্সিলর আব্দুল হাই। এ সংক্রান্ত একটি মামলা পিরোজপুর দেওয়ানি আদালতে চলমান রয়েছে।
মামলা নিস্পত্তির আগেই রোববার সকালে প্রায় ২শ সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে বাড়িটির উপর হামলা চালায়। এসময় তারা বাড়ির বৃদ্ধ শিশু ও নারীদের উপর নির্যাতন চালায়।
বাড়ির মালিক মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম (৭০) এগিয়ে এলে কাউন্সিলর হাই ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা তাঁকে বেধরক পিটায়। মারধোরের এক পর্যায় তাকে জি আই পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে গেলে বাম হাত দিয়ে ঠেকাবার সময় হাতটি ভেঙে যায়।
বৃদ্ধাকে ফেলে রেখে তার ছেলের বউয়ের উপর নির্যতন চালায়। এ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারন করতে গেলে বৃদ্ধার কলেজ পড়ুয়া নাতনির উপর নির্যাতন চালায় এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। বাসার লোক জনকে রক্তাক্ত জখম করে বাসার সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে।
এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের তিন চারটি দোকান ঘর ভেঙে ফেলে এবং তারকাটা দিয়ে হাটার পথসহ জায়গাটি ঘিরে দেয়। এরপর কাউন্সিলর আব্দুল হাইর নামে জায়গায় সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
মামলার বাদী ইতি ইসলাম বলেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় কাউন্সিলর হাই বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হঠাৎ করেই অতর্কিত আমাদের উপর হামলে পরে।
আমার শাশুরীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমার কোলে শিশু থাকা সত্ত্বেও কোন আকুতি মিনতি শোনেনি। বাচ্চাটাকেসহ আমাকেও মেরেছে।
এ ব্যাপরে কাউন্সিলর আব্দুল হাই বলেন, আমার ক্রয়কৃত জায়গা তারা দখল করে রেখেছে। উদ্ধার করতে গেলে আমার লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে। তবে তাদের সব অভিযোগ সত্য নয়।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে বাদীদের চলা চলের রাস্তা ঠিক করে দেই। গতকাল রাতে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাসান মামুন,পিরোজপুর।