ইফতারের পর চায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে নেশার ওষুধ খাওয়ায় খালা সুমি বেগম। এরপর ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে নিজের স্বামী কয়েসকে দিয়ে নিজে দাড়িয়ে থেকে ধর্ষণ করায়।
আর নিজে ওই ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখে। সিলেটের জৈন্তাপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে চেতনা ফিরে আসলে চিৎকার করে ওঠে ওই তরুণী। এসময় কয়েছ আহমদ তার মুখ চেপে ধরে।
পুলিশ জানায়, পরে ওই তরুণীর বাবা এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান এবং আত্নীয় স্বজনের পরামর্শে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
পরে ৪ মে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। র্যাব-৯ এর সহযোগিতায় শুক্রবার মধ্যরাতে সিলেট থেকে কয়েছ আহমদ সহ ও তার স্ত্রী সুমি বেগম কে আটক করে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বনিক বলেন, আসামীরা এই অ’পরাধের কথা স্বীকার করেছে। আমরা তাদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি।
নেত্রী সুমি বেগম দীর্ঘদিন ধরে পর্নোগ্রাফির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে পর্নোগ্রাফির জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও করার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুনঃ ওজু করতে বাইরে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
অন্যদিকে ধর্ষণ মা’মলার প্রধান আসামি কয়েস আহমদ ভারতের নিষিদ্ধ জুয়া তীর খেলাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।