মাগুরার মহম্মদপুরে কলেজছাত্রীকে বাথরুমে বেঁধে রেখে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৩ ভাইসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার শিকার আখি উপজেলা সদরের কাজী সালিমা হক মহিলা কলজের ছাত্রী। তিনি কেরিনগর গ্রামের আকরাম মোল্যার মেয়ে।
শনিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের কেরিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৭ আগস্ট) এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ আসামিকে একই ইউনিয়নের ডুমুরশিয়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে।আটকৃতরা হলেন- আরিফ মোল্যা, হারেজ মোল্যা, মাসুদ মোল্যা, কামরুল হাসান ও বাবুল মোল্যা।
আখির চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, আটক মাসুদ মোল্যার ছেলে নাজমুলের সঙ্গে আখির বিয়ে হয়। কিছুদিন পর আখির বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে।
পরবর্তীতে আবার নাজমুল বিয়ের জন্য চাপ দিলে আখির পরিবার এতে রাজি হয়নি। তবে পূর্ব শত্রুতার জেরে আখিকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ আখির চিৎকার শুনে তাকে বাথরুমে বাঁধা ও শরীরে আগুন দেয়া অবস্থায় দেখতে পাই। পরে পানি দিয়ে আগুন নিভাই। এ ঘটনায় আমি কাউকে ঘটনাস্থলে দেখতে পাইনি।
পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, লোকজন অগ্নিদগ্ধ আখিকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা মেডিকল কলেজ হাসপাতাল, তারপর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃকলেজে ভর্তি হতে গিয়ে ২ শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় সাত জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন দগ্ধ আখির দাদা।
ইতোমধ্যে অভিযুক্ত পাঁচজনক গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও নিশ্চিত করেছেন এ কর্মকর্তা।