‘অ্যাভেঞ্জার্স’ সিরিজের থরখ্যাত ক্রিস হেমসওয়ার্থ অভিনীত নেটফ্লিক্সের সিনেমা ‘এক্সট্রাকশন’। সিনেমাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
সাড়ে ছয় কোটি ডলার বাজেটের সিনেমাটির মূল দৃশ্যায়ন হয়েছে ভারত ও থাইল্যান্ডে। ঢাকায় কোন শুটিং না হলেও কিছু দৃশ্য (ড্রোন শট) ধারণ করা হয় এখানে।
দুর্বল ও অসংগতিপূর্ণ গল্প ও ঢাকাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনা করার কারণে ‘এক্সট্রাকশন’ নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক যেন থামছেই না। এদিকে, ঢাকা অংশের টিমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারিক আনাম খান ও তার ছেলে আরিক আনাম খান।
তারিক আনাম খান বাংলাদেশ অংশের প্রোডাকশন সুপারভিশনে ছিলেন। ভাষাগত পরামর্শক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের ওয়াহিদ ইবনে রেজা আর ডায়ালেক্ট কোচ রাফায়েন আহসান।
‘এক্সট্রাকশন’ নিয়ে সবার আলোচনা-সমালোচনা জবাবে আরিক আনাম বলেন, অনেকে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু যারা সেটা করছেন একেবারেই কিছু না জেনে করছেন।
আমরা এ সিনেমার শুধু বাংলাদেশ অংশের শ্যুটিংয়ের ম্যানেজমেন্ট করেছি, যা সিনেমার মাত্র ২ শতাংশ। আমরা যখন এর সঙ্গে যুক্ত হই, তত দিনে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। আমাদের বলা হয়েছে কী ধরনের লোকেশন তারা চায়, আমরা সেটা পেতে তাদের সাহায্য করেছি।
ঢাকায় কোনো অভিনেতাও আসেননি, তারা শুধু কিছু ড্রোন শট নিয়েছে রাস্তাঘাটের। তবে কাজ করার সময় আমরা জেনে নিয়েছি এর গল্প কোনওভাবে আমাদের দেশের মানুষ, ধর্ম বা সরকারের বিরুদ্ধে কি না।
তিনি আরও বলেন, হলিউড খুব গুরুত্বপূর্ণ না হলে কারও সঙ্গে পুরো স্ক্রিপ্ট শেয়ার করে না। তাই আমাদের পক্ষেও জানা সম্ভব ছিল না তারা কী গল্প নিয়ে কাজ করছে।
সুতরাং ঢাকাকে কেন এভাবে দেখানো হলো? ঢাকা নিয়ে সিনেমা কিন্তু আমাদের দেশের কোনো অভিনেতা কেন নেই? এসব ব্যাপারে আমাদের হাতে কিছুই ছিল না।
তবে এই ফিল্মটিকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, সেটা ঠিক না। এটা কোনো ডকুমেন্টারি বা সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা নয়।
আরও পড়ুনঃ বিতর্ক উস্কে রমজানের শুভেচ্ছা জানালেন নুসরাত
কাল্পনিক একটি গল্প। এতে আমাদের দেশকে যেভাবেই দেখানো হোক, তাতে দেশের যে সুনাম বা বাস্তবতা, তা বিশ্বের কাছে বদলে যাবে না।’
তারিক আনাম বলেন, এই সিনেমার কোনও তারকায় ঢাকায় আসেননি। পরিচালকের সঙ্গে শুধু মাত্র কয়েকজন ক্রু এসেছিলেন। সব শুটিং বাইরেই হয়েছে।
শুধু দু’দিনের জন্য পরিচালক ও কয়েকজন টিম মেম্বার ঢাকায় এসে পুরান ঢাকার কিছু এলাকার দৃশ্য শুট করে নিয়ে যান। এরপর ভিএফএক্স ব্যবহার করে দৃশ্যগুলো সিনেমায় যুক্ত করা হয়েছে।