জনগনের আস্তা ও ভালোবাসার ঠিকানা হালুয়াঘাটের মানবিক কৃতিসন্তান ইন্জিনিয়ার কামরুজ্জামান কামরুল
ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট। বহু ইতিহাস ঐতিহ্যে সাক্ষী এ উপজেলা। উপজেলার ১০ নং ধুরাইল ইউনিয়নের ধরাবন্নী গ্রামে ১৯৮৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মাতা মোছাঃ শামসুন্নাহার এবং আলহাজ্ব মোঃ আরমান আলী সরাকারের কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন এ সময়ের শিল্প উদ্যক্তা এবং একজন স্বজ্জন মানবিক মানুষ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কামরুজ্জামান (কামরুল)।
পরিবারে আট ভাই-বোনের মধ্যে ইন্জিনিয়ার কামরুজ্জামান কামরুল চতুর্থ সন্তান। ছোট বেলার চঞ্চল এবং একজন মানবসেবক হিসেবে এলাকায় বেশ নামডাক কামরুজ্জামােনর। লেখাপড়া পাট শেষ করে তিনি পেশায় হয়ে উঠেন একজন সমাজ সেবক, শিল্প উদ্যেক্তা আর একজন সফল ইন্জিনিয়ার। জানা যায়, শৈশবে তিনি প্রাথমিক স্কুলের পাঠগ্রহণ শুরু করেন পাবিয়াজুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পাবিয়াজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণীর পাঠ সমাপ্ত করে ময়মনসিংহের মাসকান্দায় অবস্থিত টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) থেকে ২০০০ সালে এসএসসি (ভোকেশনাল) উর্ত্তীন হন। ২০০৪ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং সমাপ্ত করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ইসলাম গ্রুপের ইস্টার্ন হাউজিং লিঃ এর হেড অফিসের ইউটিলিটি ডিপার্টমেন্টে ইলেকট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।বর্তমানে তিনি ইস্টার্ন হাউজিং লিঃ এর "সহকারী জেনারেল ম্যানেজার" হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া চাকুরির পাশাপাশি তিনি ২০১০ সালে অতীশ দিপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে বিএসসি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।তিনি চাকুরিরত অবস্থায় "বন্ধন কনস্ট্রাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং" নামে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে নিজস্ব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু করেন।
২০১৪ সাল থেকে অদ্যাবধি ইন্জিনিয়ার কামরুজ্জামান কামরুল "বন্ধন কনস্ট্রাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এম.ডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ৫০ শতাংশ টাকা তাঁর নিজ এলাকার দুঃস্থ,অসহায়,গরিব মানুষের সেবায় ব্যয় করেন। হালুয়াঘাট উপজেলাধিন বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ,মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আর্থিক সহযোগিতা করেন ইঞ্জিঃ কামরুজ্জামান কামরুল। তিনি
মানব সেবায় ব্রতী হয়ে বৃহৎ পরিসরে জনমানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষে ২০১৬ সালে সামাজিক 'বন্ধন ফাউন্ডেশন' নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে নগদ অর্থসহ শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রান বিতরণে অংশ গ্রহন করেন। ২০২০ সালে সারাদেশব্যাপী কোভিড-১৯ করোনা মহামারির সময়ে ভয়েক জয় করে হালুয়াঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, নগদ অর্থ, করোনার সুরক্ষা সামগ্রী ও বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণের কাজ করেছন নিরলস ভাবে। উপজেলা এলাকার প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাপনকে সহজতর করতে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ বিতরণ করে সারাদেশব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় ২০২৩ সালে হালুয়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষ রোপন করে তরুণদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। কামরুজ্জামান কামরুল একজন মানবিক হৃদয়ের হাস্যোজ্জ্বল কোমল মনের মানুষ এবং তরুন প্রজন্মের অহংকার বটে। তিনি মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন মান সেবার উের্দ্ধ আর কিছু ভালো কাজ হতে পারে না, আর তাই সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য উনার স্লোগান হচ্ছে : ভুপেন হাজারিকার সেই বিখ্যাত গানের চরণ "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য"। এরই ধারা বাহিকতায় শহর বন্দর গ্রামে পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি স্ব-মহিমায় এবং দৃঢ়চিত্তে বলে থাকেন, টাকা নিয়ে যেহেতু কবরে যাওয়া যাবে না, তাই আমার সৎ উপার্জনের সমস্ত টাকা মানুষের কল্যানে বিলিয়ে দিবো। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার কাছে আমার চাওয়ার কিছু নেই, শুধু এতটুকুই চাইবো আল্লাহতালা যেনো আমার এলাকা, আমার দেশ, আমার পৃথিবীর সর্বস্তরেরর মানবজাতিকে ভালো রাখেন, শান্তিতে রাখে, রোগ শোক অশান্তি, দারিদ্রতা থেকে দুরে রাখেন। তিনি, বিভিন্ন সময় নিজ অর্থায়নে তিনি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে থাকেন। মানবিক এ মানুষটি নিজের এলাকাকে ছাড়িয়ে কুড়িগ্রামের ভয়াল বন্যায় খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ছুটে গিয়েছিলেন আর্তপীড়িত মানুষের কাছে। নিজে ঘুরে ঘুরে বন্যার পানিতে ভিজে পৌছে দিয়েছেন জরুরি খাদ্য সামগ্রী। বিভিন্ন সময় সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি সর্বদা সুখে দু:খে পাশে থাকেন ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান কামরুল। বিভিন্ন সময় উপজেলার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তরুণদের মাঝে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রত্যক্ষ আর্থিক প্রনোদনা প্রদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র সংগঠনে মাহে রমজানের ইফতার মাহফিল ও নানান আয়োজনে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করেছেন তিনি। কর্মবীর মানবিক মানুষটিকে কেউ কেউ "দানবীর কামরুল' বলেও অভিহিত করেন।তিনি বর্তমানে ঢাকাস্থ হালুয়াঘাট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত । ইঞ্জিঃ কামরুজ্জামান কামরুল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক । রাজনৈতিক জীবনে তিনি ২০০০ সালে ছাত্র থাকাকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি ২০১৪ সাল থেকে ১৪৭,ময়মনসিংহ-২আসনের মাননীয় এমপি ও তৎকালীন সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিরলস দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে একজন প্রকৌশলী হিসেবে তিনি নিজেকে নানাবিধ কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিয়োজিত রেখেছেন। মানবিকতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরন্তর ছুটে চলেছেন তাঁর স্বপ্নের স্মার্ট হালুয়াঘাট উপজেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লা গ্রামে ও হাট বাজার গঞ্জে। উদ্দেশ্য একটাই জনমানুষের পাশে থেকে সেবা করা। আর সেই লক্ষ্যে তিনি এবার প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে। উপজেলাবাসীর উন্নয়েন হালুয়াঘাট উপজেলাবাসীর নয়নমনি ইঞ্জিঃ কামরুজ্জামান কামরুল সকলের ভালোবাসা ও দোয়ার পাশাপাশি হালুয়াঘাটবাসী সর্বস্তরের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
সাধারন জনগনের দাবী, সর্বস্তরের জনগনের সহযোগীতায় এই দীপ্তজ্জল কর্মবীর মানবিক তরুণের প্রত্যাশা ও প্রচেষ্টা প্রতিফলন ঘটুক এবং তার মাধ্যমে দেশের মধ্যে শ্রেষ্ট একটি আলোকিত হালুয়াঘাট গড়ে উঠুন এই কামনা করি।
মৃণাল চৌধুরী সৈকত,সিনি ষ্টাফ রিপোর্টার