লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪, ২য় দাফে অনুষ্ঠিত হবে

Generic placeholder image
  Ashfak

বান্দরবান জেলার বৃহত্তর উপজেলা লামা। সর্ব বিবেচনায় জেলার পরই গুরুত্ব রয়েছে লামা উপজেলার। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে উন্নয়ন, শান্তি, সম্প্রীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীল এলাকা হিসেবে লামা উপজেলার রয়েছে লালিত ঐতিহ্য। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোকে উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করার জন্য অপেক্ষমান লামাবাসী। এ বছর লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ ২য় দাফে ১০ মে তারিখে অনুষ্ঠিত হবে মর্মে ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনে এবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে বৈশালী বড়ুয়ার কথা শুনা যাচ্ছে। লোকমুখে রণিত হচ্ছে, শিক্ষানুরাগী সমাজ সেবক, পারিশ্রমিক ও মিশুক নমনীয় একজন নারী সে। নানান গুণ কীর্তনে স্থানীয়দের কাছে পরিচিতি রয়েছে বৈশালী বড়ুয়ার। তার স্বামী উজ্জল বড়ুয়া ফার্মেসী ব্যবসায়ী এবং লামা পৌর আওয়মীলীগের
 সহ-সভাপতি। লামা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড চেয়ারম্যানপাড়ার বাসিন্দা এই দম্পত্তি, সামাজিক নানান কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে থাকে। বিগত করোনাকালীন সময়ে প্রান্তিক মানুষের পাশে ছিলেন। বৈশালী বড়ুয়া স্নাতক শেষ করে, সামাজিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করছেন। বর্তমানে লামা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড শীলেরতুয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পারিবারিকভাবে তারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক মতাদর্শের। বৈশালী বড়ুয়া লামা পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। উখিয়া কুতুপালং গ্রামের সম্ভ্রান্ত জমিদার  পরিবারের ২য় মেয়ে বৈশালী বড়ুয়া। তার পিতা অরবিন্দ বড়ুয়া উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক (অব:)। লামা উপজেলায় রাজ পথে যেসব নারী নেত্রীদের সরব উপস্থিতি, তাদের একজন বৈশালী বড়ুয়া। নিরহংকার এই নারী চলনে বলনে সৎ ও মার্জিত স্বভাবের। সে কারণেই আসন্ন লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাধারণ মানুষের মুখে তার কথা শুনা যাচ্ছে।  সাংবাদিকদের কাছে সরাসরি নিজের আগ্রহটি এখনো প্রকাশ করেন নাই বৈশালী। তবে তিনি বলেন,"যেহেতু সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছি, সেহেতু সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমর্থন থাকলে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে নির্বাচন করবো।"অপরদিকে সামাজি নানান কর্মকান্ডে সন্তষ্ট সেবা প্রত্যাশি মানুষ চায়, বৈশালী বড়ুয়া যেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা করেন।সম্ভাব্য অন্যান্য আরো যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তাদের একজন হলো, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশ। গত নির্বাচনে মিল্কি রানী দাশের সাথে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় বিনা ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কতিথ আছে অন্য প্রার্থীদেরসহ সবাইকে ম্যানেজ করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার জয় নিশ্চিত করে ছিলেন সে বছর। মিল্কি রানী দাশ লামা উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি। জনশ্রুতি আছে, মিল্কি রানী দাশের স্বামী বিএনপি সমর্থিত। সে লামা-আলীকদমে বিভিন্ন টোল ট্যাক্স পয়েন্ট, হাট-বাজার ইজারাদার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহাজনি ব্যবসায়ীদের সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত। এর ফলে যথেষ্ট টাকা কড়ির মালিক তিনি। অনেকেই মন্তব্য করেন, এবারো আর্থিক প্রভাব বিস্তার করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার স্ত্রীকে ভাইস চেয়ারম্যান বানানোর পূর্বেরধারা অনু স্মরণ করতে পারেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, বর্তমানে আলীকদম সদর ইউনিয়ে কর্মরত আছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিল্কি রানী দাশ প্রার্থীতা করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, তিনি পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদে পরবর্তী মেয়াদে সদস্য হওয়ার জন্য গোপনে লবিং করতেছে। কিন্তু এই গুঞ্জনকে তিনি নাকোচ করে বলেন, " লবিংতো দূরের কথা, আমি কখনো জেলা পরিষদের সদস্য হবার আকাঙ্খা পোষন করি নাই। তবে উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা করার ইচ্ছে আছে। তাতেও দলীয় নেতৃবৃন্দ সমর্থন যদি দেয়, নইলে নয়।" সম্ভাব্য প্রার্থী আরেকজন শরাবান তহুরাও নির্বাচন করবে বলে শুনা যাচ্ছে। সে বিগত ২০১৪ সালে প্রথম বারে প্রার্থীতা করে বিপুল ভোটে বিএনপির সমর্থনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। জানাযায়, দাম্পত্য কলহ আর দলীয় সিদ্ধান্তের ফলে  ২০১৯ সালে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এর সাথে রফাদফা করে নির্বাচনে অংশ নেন নাই। অপরদিকে আজিজনগর ইউনিয়ন থেকেও কুলছমা নামের এক নারী প্রার্থীতা করতে পারে বলে শুনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে সময় যত গড়াচ্ছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হালে বাতাশ ততই গতি পাচ্ছে।  লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২য় দাফে ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে বলে সূত্রে প্রকাশ হয়েছে।

জাহিদ হাসান,লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)