ফেনীর বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও জয়িতা কর্ণার উদ্বোধনে জেলা প্রশাসক

Generic placeholder image
  Ashfak

নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে চালু করা হয়েছে জয়িতা কর্ণার। এ যেন জয়িতা কর্ণার নয়, নারী বান্ধব একটি পারিবারিক পরিবেশ। কি নেই এখানে? আছে ইনডোর খেলাধুলার নানা সরঞ্জাম। নামাজের কক্ষ, ডেসিং রুম, ওয়াশরুম ও একটি রেস্ট বেড সহ প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী রুম। ব্যতিক্রমী পরিকল্পিত এ জয়িতা কর্নারটি চালু করা হয়েছে ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে। পাশাপাশি স্কুল ভবনের নিচতলার সিঁড়ি লাগোয়া তৈরি করা হয়েছে ব্যতিক্রমী বঙ্গবন্ধু কর্ণার। এখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অনেকগুলো বই, বসে পড়ার জন্য রয়েছে চেয়ার টেবিল। এছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের কিছু দুর্লভ ছবি।

১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও জয়িতা কর্ণার প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
এ উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও অভিভাবক সমাবেশে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শুসেন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ন রশিদ, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান একে শহীদ উল্যাহ খোন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জোসনা আরা জুসি, ফেনী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার, বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাহার।

বক্তব্য রাখেন বিদ্যালের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক, শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান উর্মি।
বিদ্যালের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, জয়িতা কর্ণারে ২টি দাবা বোর্ড, ২টি কেরাম বোর্ড, ২টি বুক সেলফ, একটি রেস্ট বেড ও বেসিন, ২টি টয়লেট, একটি ফার্স্ট এইড বক্স, বয়ঃসন্ধিকালীন সামগ্রীর একটি আলমিরা, ড্রেসিং রুম (আয়না কসমেটিক সহ), নামাজের স্থান রয়েছে। এছাড়া নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া, বঙ্গমাতা ও মাদার তেরেসার ছবি লাগানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, স্কুল ভবনের নিচতলার সিঁড়ি লাগোয়া তৈরি করা হয়েছে ব্যতিক্রমী বঙ্গবন্ধু কর্ণার। এখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অনেকগুলো বই, বসে পড়ার জন্য রয়েছে চেয়ার টেবিল। এছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের কিছু দুর্লভ ছবি।

উদ্বোধন শেষে জয়িতা কর্ণার পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এরকম পরিকল্পিত পরিবেশ দেশের অন্য কোন বিদ্যালয়ে আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এটি জয়িতা কর্নারের মডেল হতে পারে। এই ব্যতিক্রমী পরিকল্পিত পদক্ষেপের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান পৃথিবীর এক ঐতিহাসিক মানুষ, সারা পৃথিবীতে পরিচিত মানুষ। তিনি এমন এক নেতা যার জন্ম না হলে আমরা পেতাম না এত সুন্দর একটি বাংলাদেশ। যার নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লাখ মা-বোন ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদের দিয়েছে সুন্দর একটি স্বাধীন দেশ। যতদিন থাকবে বাংলাদেশ ততদিন বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম প্রতিটি প্রান্তে প্রতিটি মানুষের অন্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নাম স্মরনীয় হয়ে থাকবে। আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে বঙ্গবন্ধু কর্ণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ কারনে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ উন্নয়নের ফলে আগামী একশ বছরে আর কোন উন্নয়ন প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশের এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে ভবন নির্মাণ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। আমরা সে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করতে হবে।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী, বিভিন্ন শ্রেণীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
মোহাম্মদ ইসমাইল, ফেনী প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)