কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সালথায় এক রাতে দুই গ্রামে ডাকাতি

Generic placeholder image
  Ashfak

ফরিদপুরের সালথায় মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে  একই রাতে দুই গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। 
 জানা গেছে গতকাল সোমবার  রাতে পৃথক ভাবে দুটি গ্রামে এই ডাকাতি সংগঠিত হয়।  প্রথমে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে সাইফুর মোল্লার  বিল্ডিং এ রাত ১২.৩০ টার দিকে  বিল্ডিং এর পাশে থাকা গাছ বেয়ে ভিতরে ডুকে দরজা ভেঙে ,  উড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে লেপের নিচে ডেকে রেখে ৭/৮ জনের সঙ্গ বদ্ধ ডাকাত দল ওয়ারড্রব ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ন, নগদ একলক্ষ টাকা ও মোবাইল সেটসহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নেয় ডাকাত দল। 
এরপর রাত  ২.৩০ মিনিটের   দিকে একই উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের  চাঁদপুর গ্রামের আতিকুর রহমান এর বাড়িতে  ৫-৬ জনের  ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ডুকে প্রথমে আতিকুরের ছেলে সাইদুর কে ধরে এতে সাইদুর চিৎকার দিলে মারধর করে তাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পাশের রুমে আতিকুর কে  গিয়েও হাতপা বাঁধে ডাকাত দল। আতিকুর রহমান এর ছেলে সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের ঘরের কাপড়চোপড় সহ সব ধরনের মালামাল লুটে নেওয়ার পর, আমার বড় ভাইয়ের ছেলে বাচ্চা মানুষ আমাদের ঘরে ওর দাদুর কাছে থাকে, ওকে অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে ওর মার ঘরের সামনে গিয়ে ওর মাকে ডাকতে বাধ্য করে।  ওর মা এতো রাতে ছেলের ডাক শুনে ঘরের দরজা খুলতেই ৪-৫ জন ঘরে ডুকে যায়। ওর মা  চিৎকার দিতেই একজন অস্ত্র ঠেকিয়ে ধরে।  তারপর সারা  ঘর তছনছ করে সব কিছু লুটে নেয়। প্রায় এক ঘন্টা তারা এই তান্ডব চালায়।  ৬ টি মোবাইল সেট সোনার নেকলেস ও নগদ ৩৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।  খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে। পরে সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
 শৈলেন চাকমা দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি,  আমরা এই ডাকাতির  ঘটনা নিয়ে অলরেডি কাজ শুরু করেছি।   আশা করি দ্রুতই এই ডাকাত চক্র আইনের আওতায় আসবে।
তবে এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত  কেউ কোন লিখিত  অভিযোগ থানায় দেয়নি বলে জানা গেছে।
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি 

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)