টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমায় দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে

Generic placeholder image
  Ashfak

বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।  এখন কোন সমস্যা নেই।  এবার ছয় হাজার পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। কোন ক্রমেই হকার বসতে দেয়া হবে না বলে প্রেসব্রিফিং করে জানিয়েছেন গাজীপুর মে‌ট্রোপ‌লিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম।
রোববার বেলা একটায় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে ইজতেমার দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা সভা শেষে সাংবাদিকদের পুলিশ কমিশনার এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, জুবায়ের পন্থীদের প্রতিনিধি প্রকৌশল মেজবাহ উদ্দিন, সাদ পন্থীদের আমির  রেজাউল করিম সাদ ও  আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ বিশ্ব ইজতেমা সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের প্রতিনিধিগণ।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এবারের দুই পর্বেই ছয় হাজার করে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুলিশ ছাড়াও আনসার র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী প্রতি বছরের মত নিয়োজিত থাকবে।
বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, দুই পর্বের দায়িত্ব পালন নিয়ে কথা হয়েছে।  কিছু অমিমাংসিত বিষয় মিমাংসা হয়েছে। দুই পক্ষই একমত হয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমার কতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ। খালি জায়গা গুলো পূরণ করা হবে।
সভা শেষে জুবায়ের পন্থীদের প্রতিনিধি  প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা দুই গ্রুপ বসেছিলাম। সব বিষয়ে ফয়সালা হয়েছে। এখন কোন ঝামেলা নেই।
একই গ্রুপের সূূরা সদস্য আহাম্মদ আলী বলেন, ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ফাঁকা জায়গায় শামীয়ানা বিভিন্ন জেলা থেকে আসবে। শামিয়ানার সংকট কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোন সংকট নেই।  ইজতেমার জায়গা বেড়েছে তাই চাহিদাও বেড়েছে।  দিয়া বাড়িতে থাকা শামিয়ানা আসবে বলে জানান তিনি।
সাদ গ্রুপের প্রতিনিধি দলের প্রধান রেজাউল করিম বলেন, সমঝোতা হয়েছে। দেখা যাক কি হয়।
একই গ্রুপের  সূরা সদস্য মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, কিছু দামী জিনিসপত্র ওরা নিয়ে গিয়েছিল গত বছর। সেগুলোর বিষয়ে কথা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমার মূল ময়দানের অনেক অংশ এখনো ফাঁকা রয়েছে। শেষ হয়নি মূলমঞ্চের কাজ। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দিয়া বাড়িতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ময়দান প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা বন্ধ হওয়ার পর ওই মাঠ থেকে শামিয়ানাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম  এখনো টঙ্গী ময়দানে আসেনি। ফলে আয়োজনে সংকট চলছে।  
প্রসঙ্গত: টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে দুই থেকে চার ফেব্রুয়ারী।  দ্বিতীয় পর্ব নয় থেকে এগার ফেব্রুয়ারী।   ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।
মৃণাল চৌধুরী সৈকত, টঙ্গী

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)