গত ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

Generic placeholder image
  Ashfak

ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় হত্যা করা হয়েছে আরো ২০০ ফিলিস্তিনিকে। এর ফলে উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২১ হাজার ৫০৭ জনে।

ভোরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের

যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের জন্য বর্তমানে গাজায় অবস্থানরত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস, উত্তরাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং গাজার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক গুলি ও গোলা নিক্ষেপ করেছে ইসরাইলের স্থল বাহিনী। পাশাপাশি বোমা বর্ষণ করেছে বিমান বাহিনীও।

ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই খান ইউনিস দখল করেছিল ইসরাইলি সেনারা। সেখান থেকেই সর্বশেষ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গাজায় অভিযানরত সেনারা বর্তমানে হামাসের বিভিন্ন কমান্ড সেন্টার এবং অস্ত্রাগারের ধংস করছে। সর্বশেষ সেখানকার একটি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্কটির সঙ্গে গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাসভবনের সংযোগ ছিল।

এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় নিহত ২০০ জনের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। গাজাভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-কুদস টিভিতে কর্মরত ওই সাংবাদিক ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর আশ্রয় নিয়েছিলেন নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে।

শুক্রবার নুসেইরাতে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর গোলায় সপরিবারে নিহত হয়েছেন সেই সাংবাদিক।

আরও পড়ুনঃ ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হেরে গেছেঃ ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষাপ্রধান

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরাইলি বাহিনীর টানা আড়াই মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।

সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ হাজার জন।। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।

অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরাইলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সেদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা, তাদের মধ্যে এখনও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন শতাধিক জিম্মি।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার আগ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি অভিযান চলবে। অন্যদিকে হামাসের হাইকমান্ড জানিয়েছে, তারা দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)