নির্বাচনে অংশগ্রহণ সিদ্ধান্ত একান্ত নিজস্ব বিষয়ঃ মোকতাদির চৌধুরী এমপি 

Generic placeholder image
  Ashfak

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী এমপি বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন নির্বাচনে কে আসল আর কে আসল না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় সেটা বলব না তবে নির্বাচনে অংশগ্রহনে সবারই আসার উচিত। সেই জন্য কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচনে আনার ব্যাপার নই। রাজনৈতিক দল হিসেবে সিদ্ধান্ত আপনার নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন কিনা। যেহেতু আপনার  নির্বাচন করার সুযোগ আছে।

গতকাল বুধবার(২৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর- বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। 

সাংবাদিক মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী  মোকতাদির চৌধুরী বলেন, উপনিবেশ আমলে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সমগ্র বাঙ্গালী সাড়া দিয়েছিলেন। ওনার নেতৃত্বে ১৯৪৭ সাল হতে বিভিন্ন পরযায়ে আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল যার ফলস্বরুপ আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বপূর্ণ দেশ পেয়েছি । তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে জনগণের কল্যাণে। আজকে যে পরিস্থিতি যে নির্বাচন হচ্ছে তা সবকিছুই আপনারা জানেন। তবু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে বক্তব্য তা জেলা আওয়ামী লাগে বক্তব্য ধারন করে আমরা কিছু কার্যক্রম চাইঁব। যেটা মূল কথা হলো যেকোন মূল্যে যেকোন মূল্যে গনতান্ত্রিক বিকাশের স্বার্থে এবং সাংবিধানিকতার রক্ষার স্বার্থে ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত জন্য নির্বাচন হতেই হবে তবে সময় মত নির্বাচন হবে।

তিনি আরো বলেন, ভোট গ্রহনে সামরিক সরকার সময়ে ভোট উপস্থিতি ব্যতিক্রম ছিল। সেই সময়েও যারা ভোট দিতে গিয়েছিলেন তাদের অনেকেই না ভোট দিলে হ্যা ভোট হয়ে যেত। ঐসময় একজন নির্বাচিত হয়েছে ফলাফলে আরেকজন নির্বাচিত হয়েছে। এরকমভাবে নির্বাচন হলে সেটা তো আর নির্বাচন বলা যায় না। সামরিক সরকারের সময়ে যে নির্বাচন হয়েছে তা হিসাব করলে চলবে না।গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে বাংলাদেশে কখনোই ৭০ ভাগের বেশি ভোট পড়ে নাই। আমরা মনে করি যে বিএনপির মত গুরুত্বপূর্ণ দল নির্বাচনে যেহেতু অংশগ্রহন করছে না। সুতরাং এখানে আমরা যদি ধরি  শতকরা ৩০ ভাগ বিএনপির সমর্থক নির্বাচনে ভোট না দেয় তারপরও ৭০ ভাগ থাকে। সেখানে শতকরা ৪০ ভাগ ভোট উপস্থিতি থাকলেই গ্রহনযোগ্যতা পাশে বলে মনে করি। বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম ভোটার উপস্থিতি থাকে। আমরা যদি ৪০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারি তাহলেই গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে। আপনারা আপনাদের মতই চিন্তা ভাবনা করবেন। কোথাও যদি জবরদস্তি হয়, অবৈধ ভোটার গ্রহণ করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে বিপক্ষে দাঁড়াবেন। ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আপনারা কাজ করবেন আশা করি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজে সচেতন মানুষ। আপনারা সমাজে দর্পন । আপনারা দেখেন সমাজের আয়নার মত। সামনে নির্বাচন হবে। জনগন নির্বাচন মুখি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যারা সাংবাদিকতা করছেন তাদের অধিকাংশ আমার চিনা জানা আছে। আপনারা সচেতন মানুষ যার ফলে সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছেন এবং আগামী দিনে সহযোগিতা করবেন আশা করি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। 

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র  সহ-সভাপতি ও সাবেক ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও  পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন, উপজেলা চেয়ারম্যান এড. লোকমান হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. মহসিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মো খোকন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি 
 

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)