প্রতারনার নতুন ফাঁদ লোন এপস

Generic placeholder image
  Ashfak

প্রতারনার নতুন ফাঁদ লোন এপস, রাজধানীসহ সাড়া দেশেই বিভিন্নভাবে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। প্রতারনার রয়েছে বিভিন্ন নামও। ডিজিটাল যুগ, মানুষ এখন স্মার্ট ফোনেই পুরো দুনিয়া হাতের মুঠোয় নিয়ে পরিচালনা করছেন। মানুষের কাজকে করেছে যেমন সহজ। ঠিক তেমনি প্রতারিত ও হচ্ছে খুব সহজে। বর্তমানে ইন্টারনেটে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যারা সস্তায় ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়।

 কিছু অ্যাপ কার্যকর হলেও বেশিরভাগই ভুয়ো। ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নেয়। সম্প্রতি এই ধরনের অ্যাপ থেকে প্রতারণার একাধিক ঘটনা জানা গিয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতারনার পন্থাগুলোও হচ্ছে ডিজিটালাইজড। বর্তমানে প্রতারক চক্র নতুন এক ফাঁদ পেতেছে অনলাইন দুনিয়ায়। প্রতারনার নতুন নাম লোন এপস / অনলাইন লোন। 

যেখানে আপনি আপনার ব্যাক্তিগত বা ব্যাবসায়িক কাজে টাকার দরকার হলে সামান্য কিছু প্রশ্ন বা নরমাল ডুকুমেন্ট সাবমিটের মাধ্যমে সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এপসে আপনি টাকা দেখতেও পারবেন। এমন সহজ সুযোগ কেই বা হাত ছাড়া করতে চায়, লোন পাবার এই সহজ পন্থাটাকে সবাই সহজেই লুফে নেন. বুজতে পারেনা সামনে তার জন্য কত বড় ক্ষতি অপেক্ষা করতেছে. ক্ষতিও এখানে কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। আর্থিক ক্ষতি, এবং সামাজিক ক্ষতি। আর্থিক ক্ষতির দিকেই প্রতারক চক্র বেশি নজর দিয়ে থাকে। যারা একটু বড় মাপের প্রতারক তাদের চিন্তা আবার ভিন্ন।তারা ছোটখাটো অর্থের দিকে নজর না দিয়ে অন্যভাবে সামাজিক ক্ষতির ভয়ভিতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতানোর ধান্দায় থাকে। 

কারন তারা ডুকোমেন্ট নেয়ার মাধ্যমে গ্রাহকের ফোন বা ব্যাংকের এক্সেস নিয়ে নেয়। সেটা দিয়েই তারা পরবর্তিতে তাদেরকে ঘায়েল করে। এরকম অসংখ্য গল্প আমার আপনার আশেপাশেই অহরহ হচ্ছে। অনলাইন এপসের মাধ্যমে প্রতারক চক্রটি টার্গেটকৃত মানুষদের নিয়েই কাজ করে। আপনি আপনার কষ্টের কথা অর্থের অভাব কোননা কোনভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন।

 সেখান থেকেই আপনি হয়ে যাচ্ছেন তাদের টার্গেট। আপনার সামনেই ভেসে উঠবে তাদের টাকা পাবার হাতছানি। তাদের লোভনিয় প্রস্তাবে পরে আপনি আপনার কষ্টার্জিত টাকা জমা করে দিবেন তাদের একাউন্টে, অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে। এভাবেই তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এই এপসের মাধ্যমে লোন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগই জাল/ভুায়া এপস।
চিনবেন কিভাবে এই এপসটা ভুয়া কিনা?


* কোন কোন ফাইন্যান্স কোম্পানির অধীনে লোন প্রদান করছে।
* ঋণ পরিশোধ করার সময়সীমা ২-৩মাসের কম হলে সেটি জাল অ্যাপ হতে পারে।
* কোন রকম কন্ট্রাক্ট ছাড়া যদি লোন দেয়, তাহলে সেটি জাল লোন অ্যাপ হতে পারে।
* এটি ইন্সটল করার সময় যদি আপনার ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট, ফাইল ম্যানেজার, গ্যালারি এবং ক্যামেরা এর পারমিশন চাই তাহলে সেই অ্যাপটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের মাধ্যমে আপনাকে ব্ল্যাকমেল করতে পারে।
* যে অ্যাপ থেকে লোন নিতে চান, ওই অ্যাপ সম্পর্কে একাধিক বিশ্বস্ত চ্যানেল, পত্রিকা,ওয়েবসাইটে তথ্য অনুসন্ধান করুন।

* অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার আগে জেনে নিতে হবে কোন সংস্থা এটি চালাচ্ছে। কোন সংস্থা এটি তৈরি করেছে, সেই সংস্থার ট্র্যাক রেকর্ডও পরীক্ষা করা উচিত। ওয়েবসাইট,যোগাযোগের বিবরণ, অফিসের ঠিকানা যাচাই করতে হবে। দেশে কোনও অফিস রয়েছে কিনা, কোথায় সেই অফিস- সব দেখে নিতে হবে।
* অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে দেখে নিতে হবে সেটা কোন ব্যাঙ্ক বা নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। গুগল-এর নীতি অনুযায়ী, যে কোনও লোন অ্যাপকে অবশ্যই অন্ততপক্ষে একটি এনবিএফসি-এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। যদি অ্যাপের সঙ্গে কোনও ব্যাঙ্ক যুক্ত না থাকে তাহলে সতর্ক হয়ে যাওয়াই ভাল।

আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে এই সমস্ত এপসের ফাদে পরে অনেকে আত্বহত্যা করেছে মর্মে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। কারন হিসেবে দেখা গেছে এপস ইন্সটল করার পর ফোনের সকল এক্সেস দিয়ে দিচ্ছে, পরবর্তিতে তাদেরকে ব্ল্ধসঢ়;যাকমিল করে হয়রানি করতেথাকে।

অনেকে এই হয়রানির লোড নিতে না পেরে আত্বহত্যার পথ বেছে নেয়। আমাদের দেশেও এই ধরনের ঘটনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই এপস ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন অনলাইন বিশেষজ্ঞরা।এই ধরনের কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম সামনের পরবে বিস্তারিতসহ তুলে ধরা হবে।

এইচ এম এমদাদ উল্লাহ চৌধুরী

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)