ফুলবাড়ীতে নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে সড়কে চলাচল করতে পারছেন স্থানীয়রা

Generic placeholder image
  Ashfak

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে সড়কে চলাচল করতে পারছেন স্থানীয়। বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিব্বির আহমেদের হস্তক্ষেপে এক যুগ পর ১৫০ মিটার গ্রামীন সড়ক স্থানীয়দের চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। 
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই বালাতাড়ি এলাকার আশরাফুল আলম ও আব্দুল মজিদের সাথে বাড়ীর সীমানা নিয়ে দ্ব›েদ্বর কারণে এক যুগ ধরে ১৫০ মিটার সড়কটি তাদের দখলে থাকায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। ফলে বাধ্য হয়ে টানা এক যুগ ধরে এলাকার শতশত মানুষজন বিকল্প সড়ক দিয়ে ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চরম দুর্ভোগে খরিবাড়ী হাট, আমচা বাজার, বড়লই বাজার ও বড়ভিটাসহ ফুলবাড়ী সদরে যাতায়াত করে আসছেন। 

সম্প্রতি সময়ে দখলে থাকা ১৫০ মিটার সড়ক মানুষজনের চলাচলের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্থানীয়রা আবেদন করেন। আবেদন পেয়ে মানুষজনের জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ গরুত্বসহকারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সচেতন মানুষজনদের সাথে টানা তিন দিন পর বুধবার শেষ বিকালে বাদী-বিবাদীর সীমানা ঠিকঠাক করে টিন সেটের বেড়া সরিয়ে দেন। টানা এক যুগ পর শতশত মানুষের উপস্থিতিতে নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ ও ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ ১৫০ মিটার সড়ক মানুষের চলাচলের জন্য উদ্ধার করে এবং সড়কে মাটি ভরাটের পর দুই পাশে ৫০ থেকে ৬০ টি ফলের গাছ লাগানো হয়। সড়কটি দখলে রাখা আশরাফুল আলম ও আব্দুল মজিদ জানান, ইউএনও মহাদয় টানা ১২ থেকে ১৩ বছরের দ্বন্দ্ব নিরোসন করে দেওয়ায় আমরা খুবই খুশী। 

স্থানীয় আবদার আলী ও আব্দুল আজিজ জানান, এতদিন অতিকষ্টে মানুষ চলাচল করছিলেন। কিন্তু কোন ধরণের যান বাহন চলতো না। এক যুগ পর ইউএনও স্যার সড়কটি প্রস্থত করে দেওয়ায় এখন মানুষজন কোন রকমের দুর্ভোগ ছাড়াই চলাচল করছেন এবং সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের যান বাহনও চলাচল করায় ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান। এই দুই স্থানীয় ছাড়া অনেকেই প্রায় ৫০০ মিটার কাচা সড়কটি পাকা করণের দাবী জানিয়েছেন। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আমমেদ জানান, আবেদনে দেখতে পারি বিষয়টি অনেক দিনের পুরাতন ঘটনা। প্রায় এক যুগ থেকে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। পরে মনে প্রশ্ন জাগে এতদিনে কেন সমাধান হলো না। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে। কারণ বিষয়টি জনদুর্ভোগ। স্থানীয় মানুষজন অনেক কষ্টে অন্য পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন। তাই কিভাবে এই জটিল বিষয়টি সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে ভাবতে থাকি। পরে মনে সাহস নিয়ে ওসি সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে টানা তিন দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সফল হয়েছি। এখন সড়ক দিয়ে ওই এলকার ৩০-৪০ টি পরিবারসহ শতশত মানুষজন স্বাধীনভাবে চলচল করছে। সমাধানটা করতে পাড়ায় আমারও ভাল লাগছে। আশাকরছি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৫০০ মিটার কাচা সড়কটি পাকা করণের ব্যবস্থা করা হবে। 
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)