স্বপ্ন পূরণের আগেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রবাসী শাওন মুন্সি 

Generic placeholder image
  Ashfak

মাত্র দেড় মাস আগে মালেশিয়াতে গিয়েছিলেন শাওন মুন্সি। কাজের সময় পেছন থেকে একটি মালবাহী ট্রাক এসে চাপা দেয় তাকে। সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। ঋণ করে অসুস্থ্য মা বাবাকে রেখে বিদেশ গিয়েছিল সে। একমাত্র উপার্জনকারী ছেলেকে হারিয়ে তার পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তার মরদেহ বাংলাদেশে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছে পরিবার।

শাওন মুন্সি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের আনন্দবাজার গ্রামের আহম্মেদ উল্লাহ মুন্সী ও পারভীন বেগম দম্পত্তির ছেলে। তারা দুই ভাই এক বোন।
স্থানীয় ও শাওনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শাওনের বাবা প্রায় বছর ধরে অসুস্থ্য অবস্থায় ঘরেই থাকেন। মা বাবাসহ ভাই বোনদের একটু সুখে রাখার জন্য ঋণ করে শাওন অল্প বয়সে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল। কিন্তু নিজ কোম্পানির মালবাহী ট্রাকের চাপায় পড়ে শাওন গত বৃহস্পতিবার মারা যায়। ৮ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার ওর মরদেহ দেশে এসেছে। পরিবারটিতে এখন উপার্জন করার মত কেউ রইল না।

শাওনের ফুফাত ভাই শাহিন আলম বলেন, ছোট বেলা থেকেই শাওন সংসারের হাল ধরতে কাজকর্ম করে। বিদেশে গেলে একটু বেশি আয় হবে, মা বাবাকে সুখে রাখতে পারবে।  দারিদ্রতা বিমোচন করে স্বপ্ন পূর্ণ করবেন,এই আশায় বিদেশে গিয়ে আমার ভাইটা গাড়ির চাপায় পড়ে মারা গেল। ওর কোম্পানি থেকে এখনও কোনো সহযোগিতা পাইনি। আশা রাখছি শাওনের কোম্পানি শাওনের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াবে।

শাওনের বোন মোসা. ভাবনা বলেন, প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ করে আমার ভাই বিদেশে গিয়েছিল। ট্রাক চাপায় পড়ে সে মারা গেছে। আমার ভাই আর নেই। এখন কে আমার বাবার ওষধ কিনতে টাকা দিবে?

কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বাচ্চু  বলেন, শাওন বিদেশে বসে মারা গিয়েছিল এক সপ্তাহ আগে। আজকে ওর মরদেহ আনা হয়েছে। বিদেশে ট্রাকচাপায় মারা যাওয়া আসলেই মর্মান্তিক। ও বাবা অসুস্থ্য। যে কোনো প্রয়োজনে শাওনের পরিবারের পাশে ইউনিয়ন পরিষদ থাকবে।
শফিকুল ইসলাম সোহেল,ডামুড্যা প্রতিনিধি 
 

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)