খানসামার সবজি দাম বৃদ্ধি, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

Generic placeholder image
  Ashfak

 গ্রাম-গঞ্জের সবজির দাম বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষ অসহায়। ব্যবসায়ীরা বলছে, শীতের সবজির উৎপাদন কমে আসায় বাজারে সব ধরনের সবজির দামই দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে আগাম শীত পড়ে। কিন্তু প্রকৃত সবজি চাষীদের মুখে অন্য কথা।

সবজি চাষী মালেক বলছেন, আমি এবার লাউ, বেগুনসহ বিভিন্ন শাক সবজি চাষাবাদ করেছি। বিক্রি করতে গেলে তেমন দাম পাচ্ছি না। যখন সেই সবজি যখন ক্রয় করতে যাচ্ছে তখন দাম দ্বিগুন হচ্ছে, এটা কেমন কথা।  এর এই অথচ খানসামা উপজেলা সবজি উৎপাদনে সেরা। এরপরও কমছে না শীতকালীন সবজির দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, মূলা ৩৫, পিয়াজ ১২০, করলা ৬৫, আলু ৫৫ টাকা, পটল ৬০, পুঁইশাক ২০, শিম ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৪৫ টাকা, বেগুন (লম্বা) ২৫-৪৫ টাকা, ফুলকপি কেজি থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৪০, ঢেড়শ ৬০ টাকা, কায়তা ৪০, বটবটি ৪০, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায় ও পেঁপের কেজি ৩০ টাকা।

পাকেরহাট বাজারে সবজি কিনতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, আগে ২শ টাকার বাজার করলে ব্যাগ ভর্তি হয়ে যেত। এখন ভর্তি তো দুরের কথা ব্যাগের তলায় পড়ে থাকে বাজার। ' সবজি বাজার এলে মনে হয়, ভুল করে স্বর্ণের বাজারে এসেছি।' তিনি আরো বলেন, আমাদের ইনকাম বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়েছে। 

আমরা সাধারণ মানুষ এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই চাই। আঃ রহমান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, 'জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের ওপর যে কী প্রভাব পড়ে সেটি বলে বোঝানো যাবে না। মাছ মাংস তো দূরের কথা সবজি কিনতে টাকা শেষ।' 'কাঁচা বাজার ঢুকতেই ভয় লাগছে। বাজারে আগুন ধরেছে। এত দাম হলে আমরা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা কি করে কিনব। এতে দিশেহারা হয়ে গেছি। সংসারে টানাটানি শুরু হয়েছে। এখন আমাকে সংসার চালাতে হলে অতিরিক্ত কিছু করতে হবে, না হয় ধার করে চলতে হবে। বাজারে এলে লিস্টের অনেক জিনিস না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে।' 

এক শিক্ষক বলছেন, বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমার বেতন বাড়েনি। বাজার করতে এসে সবজির দোকানগুলোতে দাম দর করছি। কিন্তু বিক্রেতারা যেভাবে দাম হাঁকাচ্ছে তাতে কেনার সামর্থ্য নেই। শীতের এই ভরা মৌসুমে এমন মূল্যবৃদ্ধি কিভাবে সম্ভব আমার বুঝে আসছে না।

সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, এখনো পুরোপুরি শীতকালীন সবজি আসে নাই। আসলে দাম অনেকটাই কমে যাবে। আশা করছি আগামী মাস থেকে দাম কমবে।'
 মো. আজিজার রহমান,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)