কমলগঞ্জে দলিত ও চা জনগোষ্ঠীর মতবিনিময় সভা

Generic placeholder image
  Ashfak

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে 'মানবাধিকার সুরক্ষা ও সহায়তার মাধ্যমে দলিত ও সামাজিকভাবে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ও বিদ্যমান বৈষম্য লাঘব' প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ দলিত ও চা জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন হলরুমে সভার আয়োজন করে মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্ট।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মাসুদ ভূইয়া,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা  সাঈদ নাজমুল হাসান।

মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্টের সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইকের সভাপতিত্বে ও ফ্রন্টের কো-অর্ডিনেটর জিয়ানা মাদ্রাজী এর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম।

আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক সালাউদ্দিন শুভ, চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন,সাংবাদিক মোনায়েম খান, নারীনেত্রী আশা অর্নাল,শব্দকর সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রতাপ শব্দকর, সাধারণ সম্পাদক উপেন্দ্র শব্দকর প্রমুখ।এসময় চা শ্রমিক,দলিত ও শব্দকর জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, দলিত জনগোষ্ঠীসহ অনগ্রসর সকল জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে। এ দেশ আমাদের সকলের। এ দেশকে ভালবাসতে হবে। বর্তমান সরকার দলিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।কোন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সবপ্রথম প্রয়োজন তাদের নিজেদের উদ্যোগ। আমাদের সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন জনগোষ্ঠীকে পিছনে রেখে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।

সভায় বক্তারা দলিত ও চা জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন দাবির সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করে বলেন, কোন বঞ্চনা চিরকাল টিকে থাকেনি, আজকের দিনের বঞ্চনাও চিরদিন থাকবে না। তবে তার জন্য দরকার সমাজের সকল মানুষের ইতিবাচক মানসিকতা। আমাদের সকলের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, সাথে সাথে দলিত জনগোষ্ঠী যেভাবে মানুষকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত রাখতে হবে।

সভায় বক্তারা আরো বলেন,চা-জনগোষ্ঠী,শব্দকরসহ প্রায় ১০০টিরও অধিক জাতিগোষ্ঠী পরিচয়ে আমাদের দেশের বিভিন্ন শহর গ্রাম ও চা বাগানে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে যারা আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিকভাবে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিক্ষা এবং সামাজিকভাবে স্বীকৃত কিছু নির্দিষ্ট পেশা গ্রহণে বাধ্য হয়।

সভায় মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে কমলগঞ্জ উপজেলায় দলিত ও চা জনগোষ্ঠীর মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা এবং সরকারি সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কাছে বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
এম এ ওয়াহিদ রুলু, কমলগঞ্জ

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)