ঠাকুরগাঁওয়ে পরকীয়ার ঘটনায় প্রমিক-প্রমিকার মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ভুল্লিতে পরকিয়া প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জসেফ রায় (৪০) ও নুনী বালা(৩২) নামে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু'জনেই মৃত্যু বরণ করেন। জানা গেছে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে জসেফ এবং মঙ্গলবার (১২সেপ্টেম্বর) সকালে নুনী বালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় ভুল্লি থানায় পৃথক দুটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়।
এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর উপজেলার সাসলা পিয়ালা গ্রামের মহেষ রায়ের ছেলে জসেফ রায় ও কচুবাড়ী এলাকার রাতেশ্বর রায়ের স্ত্রী নুনী বালা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে একসাথে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে দু জনের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার পর সম্পর্ক পরকীয়া পর্যন্ত পৌঁছায়। বিষয়টি জানাজানি হলে একাধিকবার ওই পরকীয়ায় জড়িত প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে শালিস-বৈঠক হয়। কিন্তু উভয় পরিবারের লোকজন পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি মেনে না নেয়ায় গত সোমবার সকলের অগোচরে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সাসলা পিয়ালা পুকুরের পূর্ব কান্দর এলাকার একটি পুকুরে অচেতন অবস্থায় দু'জনকে পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিনই জসেফ রায় মারা যায়। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকা নুনী বালাও মারা যান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নাঈম মো. মিনহাজ কৌশিক বলেন, আমরা ধারণা করছি তারা বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আর কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে তারা কী কারণে মারা গেছেন।
ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলালউদ্দীন জানান সাসলা পিয়ালা পুকুরের পূর্ব কান্দর এলাকার একটি পুকুরে অচেতন অবস্থায় দুজনকে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাদেরকে খবর দেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই রাতে জসেফ রায় মারা যায় এবং পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকা নুনী বালাও মারা যান। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে তারা দুজনেই বিষপান করেছিলেন।
হুমায়ুন কবির,ঠাকুরগাঁও