টঙ্গীতে শ্রীকৃষ্ণে’র জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও র‌্যালী

Generic placeholder image
  Ashfak

টঙ্গী বাজারে স্থাপিত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা দূর্গা মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণে’র জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা শেষে শোভাযাত্রা ও র‌্যালী বের করা হয়েছে। শোভা যাত্রা ও র‌্যালীর উদ্ভোধন করেন গাজীপুর নগর উন্নয়ন চেয়ারম্যান এবং মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের উদ্ভোধক মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান এবং টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. ওসমান আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক উপদেষ্টা সদস্য মো. কাজী সেলিম, ৫৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলেিগর যুগ্ম আহবায়ক হাজী মো. মুকুল সরকার, মন্দির পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা বাবু হরিসাধন পোদ্ধার, পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা সদস্য বাবু মনোহর দাস, সহ-সভাপতি বাবু ভোলানাথ ধর, মন্দির পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু দিপঙ্কর ঘোষ, মন্দির পরিচালনা কমিটির ১নং সদস্য মৃণাল চৌধুরী সৈকত, টঙ্গী পূর্ব থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধার সম্পাদক বাবু অমল চন্দ্র ঘোষ, যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু ইন্দ্রজিৎ সাহা মরণসহ টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কয়েকশত কৃষ্ণভক্ত ও পূজারীবৃন্দ। 

পরে রং-বেরংয়ের সাজে সূ-সজ্জিত এবং ব্যান্ডপাটি সমন্বয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ সম্মিলিত শতশত মন্দির পূজারী ও ভক্তবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনী কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রা ও র‌্যালিটি টঙ্গী বাজার, মধুমিতা হয়ে মন্দিরে এসে শান্তিপূর্ণ ভাবে যবনিকা করা হয়। বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে শ্রীকৃষ্ণে’র পূজার্চনা এবং বৃহস্পতিবার সকালে প্রসাদ বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির পরিচালনা কমিটির একাংশের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া টঙ্গীর মরকুনস্থ রাধা গোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ স্থানীয় কৃষ্ণভক্ত ও পূজারীবৃন্দদের সমন্বয়ে শ্রীকৃষ্ণে’র জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা ও র‌্যালী করেছে। সূত্রমতে : আজ ৬ সেপ্টেম্বর শ্রীকৃষ্ণে’র জন্মা দিন। তৎকালীন ভারতের মথুরা রাজ্যের অত্যাচারী মহারাজ এবং শ্রীকৃষ্ণে’র মামা মহারাজ কংসের কারাগারে মাতা দৈবকির কোলে ভগবান শ্রীীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল পৃথিবীতে প্রেম ও ধর্ম প্রতিষ্টা এবং অ-ধার্মিক অত্যাচারীদের ধ্বংশ করার জন্য। হিন্দু শাস্ত্রের বিভিন্ন ধর্মগ্রহ্নে কথিত আছে : শ্রীকৃষ্ণে’র জন্ম হয়েছিলো ৩২২৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। মাতা দৈবকির ৮ম সন্তান এবং বিষ্ণুর ৮ম অবতার ছিলেন তিনি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর, ভগবান, গোবিন্দ, পরমেশ্বর প্রভৃতি নামে অভিহিত করে থাকেন। সে জন্যই প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণে’র জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়ে থাকে। ধারনা করা হয়, এই দিনে যদি শ্রীকৃষ্ণকে কিছু বিশেষ জিনিস দিয়ে সজ্জিত করা হয় তবে তিনি খুব খুশি হন। এছাড়াও শ্রীকৃষ্ণকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মধ্যরাতে পুজো পূজা করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ছাড়াও সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ এই দিনে উপবাস রাখে। এছাড়াও জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণকে শিশুরূপেও পুজো করা হয়। সূত্রমতে : কৃষ্ণ শব্দের আক্ষরিক অর্থ কালো বা ঘননীল। গৌড়ীয় বৈষ্ণব স¤প্রদায়ের হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রে, কৃষ্ণ শব্দটির আভিধানিক অর্থ সর্বাকর্ষক। ভাগবত পুরাণে কৃষ্ণকে প্রায়শই বংশী-বাদনরত এক কিশোরের রূপে বর্ণনা করা হয়েেছ। সনাতন বা হিন্দু ধর্মে শ্রীকৃষ্ণ একজন প্রধান হিন্দু দেবতা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নামে পরিচিত। তিনি ৫ম শতাব্দীতে দেবীরুপ ধারণ করেছিলেন এবং তারপর থেকে শ্রীকৃষ্ণকে সর্বোচ্চ দেবতা হিসাবেও পূজা করা হয়ে থাকে।
মৃণাল চৌধুরী সৈকত,সিনি: ষ্টাফ রিপোর্টার

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)