একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রো‌গি‌দের সা‌থে প্রতারনা

Generic placeholder image
  Ashfak

গাজীপুরের টঙ্গীতে একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মনগড়া রিপোর্ট দি‌য়ে ডেঙ্গু রো‌গি‌দের সা‌থে প্রতারনা করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়-গাজীপুর টঙ্গী দত্তপাড়া আলম মা‌র্কেটস্থ নিবাসী মাহমুদা বেগম জ্ব‌রে আক্রান্ত হ‌য়ে গত ২৯আগষ্ট টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল প্যাথলজি বিভাগে ডেঙ্গু পরীক্ষার রক্ত দি‌য়ে আসার পর রিপোর্ট-এ ডেঙ্গু পজিটিভ আসে এবং প্লেটলেট এর পরিমান দাড়ায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার। পূণরায় গত ৩১আগষ্ট টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট, রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে এবং পূবালী ব্যাংকের সাথে (২য় তলায়) অব‌স্থিত একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ে প্লেটলেট এর পরিমান জানার জন্য টেষ্ট দি‌লে সেখানে প্লেটলেট এর পরিমান দেখায় ৩ লক্ষ ১০ হাজার। এ‌ নি‌য়ে রোগী এবং তার পরিবারে স‌ন্দেহ হ‌লে প‌রের‌ দিন ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং শুক্রবার উত্তরা ইবনে সিনা ডি. ল্যাব এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে পরিক্ষা কর‌লে প্লেটলেট এর পরিমান দাড়ায় ১ লক্ষ ৩১ হাজার। মাত্র এক‌দি‌নের ব্যাবধানে প্লেটলেট এর উঠানামায় রোগী এবং রোগীর আত্বীয় স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে গতকাল একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টেকনোলজি মকবুল হো‌সেনের সা‌থে দেখা ক‌রে তার প্রতিষ্ঠান থে‌কে দেওয়া রি‌পোর্টসহ তিন‌টি রি‌পোর্ট দেখা‌নো হ‌লে একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প‌রিচালক ব‌লেন উনাদের দেওয়া রি‌পোর্ট শতভাগ ঠিক আছে । এক‌দি‌নে ২‌ থে‌কে ৩ লক্ষ বাড়‌তে পারে। এটা কোন সমস্যা নয়। শহীদ আহসান উল্লহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও উত্তরা ইবনে সিনা ডি. ল্যাব এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের রিপোর্ট ঠিক নেই। একতার রি‌পোর্ট ছাড়া বাকী গু‌লি ভূয়া এবং সঠকি নয় বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন। এ‌ বিষয়ে একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প‌রিচালক কমল বিশ্বাসের মুঠোফোনে যোগা‌যোগ করা হলে তিনি প্রথ‌মে বিষয়টি এ‌ড়ি‌য়ে যাবার চেস্টা ক‌রেন এবং প‌রে রোগীর অ‌ভিভাব‌কের সা‌থে কথা বল‌বেন ব‌লে জানান। ভূক্তভোগী মাহমুদা বেগম জানান, একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার কারণে অর্থনৈতিক ভাবে যতটা না ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি তার চেয়ে বেশী আমি মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করার অধিকার তাদের নেই। তাই এ ধরনের প্রতারকদের বিচার হওয়া জরুরী। ইতিমধ্যে ডেঙ্গুর জন্য গাজীপুরের ৪৬ নং ওয়ার্ডকে রেড‌ জোন ঘোষনা করা হ‌য়ে‌ছে এবং দেশে প্রতি‌দিনই ডেঙ্গু রোগির আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বে‌ড়েই চল‌ছে। সেখা‌নে প্রশাসনের নাকের ডগায় একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার না‌মে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রো‌গি‌দের সা‌থে প্রতারনা করে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখছে কিভা‌বে ? এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এব্যাপারে স্থানীয় লোকজন জানান, কোভিড ১৯ এর সময় করোনা পরিক্ষা নিয়ে যেমন প্রতারণা হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে, সেই রকম যেনো ডেঙ্গু নিয়ে কাউকে প্রতারিত হতে না হয় স্থানীয় প্রশাসন সে দিকে দৃষ্টি দিবেন এটা সকলের প্রত্যাশা।

মৃণাল চৌধুরী সৈকত,সিনি : স্টাফ রিপোর্টার

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)