ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন,টঙ্গী বাজার মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের ক্ষোভ
টঙ্গী বাজারস্থ শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির পরিচালনা নিয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠন পরিপহ্নি এবং অ-গঠনতান্ত্রিক নিয়মে গত তিন বছর যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ও বির্তকিত মন্দির পরিচালনা কমিটির স্ব-ঘোষিত সভাপতি রঞ্জিত দাস ও সাধারণ সম্পাদক দেবেন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ক্ষমতা আকড়ে রেখে মন্দিরে ভিন্ন ধর্মাম্বলীর লোকজন নিয়ে আধিপত্ত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মন্দির পরিচালনার কমিটির একাংশের ভক্তবৃন্দ। এরই জের ধরে ক্ষমতালোভী রঞ্জিত দাস ও দেবেন্দ্র দত্ত নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এবং একে অপরের যোগসাজসে ষড়যন্ত্রমূলক মন্দিরের উপদেষ্টা কমিটি, মন্দির পরিচালনা কমিটি ও যুব কমিটির একাংশে থাকা ১০ জনের বিরুদ্ধে গাজীপুর বিজ্ঞ জেলা জজ ২য় আদালতে দে: মো: নং- ৭২ রজু পূর্বক হয়রানী করারও অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ও বির্তকিত মন্দির পরিচালনা কমিটির শীর্ষ এই দুই নেতা কর্তৃক উদ্দেশ্যমূলক মামলা, মন্দিরের আহবায়ক কমিটির হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে না দেয়া, মন্দির পরিচালনার ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখা, দুজন ব্যক্তির ইচ্ছে মতো ৫/৭ জনকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিবাদে ২৮ আগষ্ট সোমবার সকাল ১১ টায় মন্দির প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন, বাংলাদেশ পূজা উদ্ধসঢ়;যাপন পরিষদ টঙ্গী পূর্ব থানার সাধারণ সম্পাদক অমল ঘোষের নেতৃত্বে মামলার বিবাদীরা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৮৩ সালে টঙ্গী বাজারে অবস্থানরত সনাতন সম্প্রদায়ের বেশকিছু লোকজন মিলিত হয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের কল্যাণে কাজ করার উদ্দেশ্যে শ্রীনাথ দাসকে সভাপতি এবং কবিরাজ মদন মোহনকে সাধারণ সম্পাদক করে হিন্দু জনকল্যাণ সমিতি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে সনাতন সম্প্রদায়ের পূজাচর্না করার জন্য ১৯৯৪ সালে নদীর পাড়ে মন্দিরটি প্রতিষ্টিত করা হয়। তারপর থেকে মন্দিরটিতে নিয়মিত পূজাচর্ণা পরিচালনায় হয়ে আসছে। সবশেষ ২০১০ সালে রঞ্জিত দাসকে সভাপতি এবং শ্যামল পালকে সাধারন সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করা হলে ওই কমিটি মন্দিরে সকল প্রকার পূজাচর্ণা করতে থাকে। সর্বশেষ ৪ আগষ্ট ২০১৭ সালে রঞ্জিত দাসকে সভাপতি এবং দেবেন্দ্র দত্তকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মন্দির পরিচালনা কমিটি, ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি, ২১ সদস্য বিশিষ্ট যুব কমিটি গঠন করা হয়। সে সময় মন্দির নির্মাণ কমিটি করার প্রস্তাব আসলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রহস্যজনক কারণে সেই কমিটি গঠন না করে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে ৪ আগষ্ট ২০২০ সালে উপরোক্ত কমিটিগুলোর মেয়াদ শেষ হলে উপরোক্ত দুই ব্যক্তি নতুন কমিটি প্রণয়ন এবং গঠনতন্ত্র বাস্তবায়ন না করে এমনকি নিয়মিত সাধারণ সভা না করেই নিজেদের ইচ্ছে মতো কমিটি করার অপ- প্রয়াস করেন। এনিয়ে মতবিরোধ এবং দুটি গ্রুপের সৃষ্টিসহ মন্দিরের শৃংখলা ভঙ্গ হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বারস্থ হলে তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কারণ : রঞ্জিত দাস ও দেবেন্দ্র দত্তগং “বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমাদের” নীতিতে বহাল থাকেন এবং এক তরফা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে, মন্দির পরিচালনা করতে থাকেন। পরে পূজা উদযাপন পরিষদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিষয়টি প্রশাসনের হাতে ন্যাস্ত করেন। এক পর্যায়ে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের নিদের্শে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার্স ইনচার্জ গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ইং উভয় পক্ষকে শৃংখলা বজায় রেখে এবং উভয় পক্ষের লোকজনের সম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্র প্রণনয় এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। কিন্তু রঞ্জিত দাস এবং দেবেন্দ্র দত্ত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেন এবং উপরন্ত থানার অফিসার্স ইনচার্জকে মিথ্যা দোষারুপ এবং হরি সাধন পোদ্দার, দিপংকর ঘোষ, মহাদেব সাহা, অমল ঘোষ, সুভাষ সরকার, দুলাল দাস, ইন্দ্রজিত সাহা, রতন সরকার, নিতাই দাস, বিপুল দেবনাথকে অভিযুক্ত করে ষড়যন্ত্রমূলক মন্দিরের উপদেষ্টা কমিটি, মন্দির পরিচালনা কমিটি ও যুব কমিটির একাংশে থাকা উপরোক্ত ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ১৫ মে ২০২৩ ইং গাজীপুর বিজ্ঞ জেলা জজ ২য় আদালতে দে: মো: নং-৭২ রজু করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামলার বিবাদীরাসহ স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ে শতাধিক ভক্ত-পূজারী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অমল ঘোষ। এসময় মন্দির পূজারী ভক্তবৃন্দ ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিত্বে আদালতে দায়েকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যথায় সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়ে আন্দোলনের ঘোষনা দেন মন্দির পরিচালনা কমিটির ্ধসঢ়;কাংশ এবং স্থানীয় পূজারী ভক্তবৃন্দ।
সিনি: স্টাফ রিপোর্টার, মৃণাল চৌধুরী সৈকত