সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হলে কমবে মৃত্যু, অর্জিত হবে এসডিজি লক্ষমাত্রা

Generic placeholder image
  Ashfak

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শক্তিশালী ও মেধাবী তরুণ সমাজ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটি দ্রুত পাসের তাগিদ দিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিষ্ট ফোরাম বাংলাদেশ- এটিজেএফবি'র নেতারা। 

শনিবার সকালে (২৬ আগষ্ট) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে এটিজেএফবি'র সাথে এক কর্মশালায় তারা আরো বলেন, আইনের সংশোধনী পাস হলে মৃত্যু কমবে, এসডিজি গোল অর্জিত হবে, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ তরাণিত হবে।  

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিড্স বাংলাদেশের লিড পলসি এ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, বাসস-এর অনলাইন ইনচার্জ ও এটিজেএফবি সভাপতি তানজিব আনোয়ার এবং এটিজেএফবি সাধারণ সম্পাদ ও বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি জিয়াউল হক সবুজ। 

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম।  এ সময় তিনি বলেন বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে পাবলিক প্লেস, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহনে স্মোকিং জোন থাকার কারণে পরোক্ষ ধুমপানজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ী নাগরিকগণ। এতে করে ৮৫% হারে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।  অন্যদিকে স্মোকিং জোনকে ব্যবহার করে ৭৩% রেস্তোরাঁতে তামাক কোম্পানী বিজ্ঞাপন সামগ্রী প্রদর্শন করছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোনীর জন্য একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। এই খসড়াটি পাস হলে রেস্তোরাঁসহ সকল পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, খুচরা বিক্রি, ই-সিগারেট ও তামাক কোম্পানীর সিএসআর নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশ কিছু দুর্বল দিক দূর হবে ও আইনটি বিশ্বমানে উন্নীত হবে। 

এ সময় মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইনের সংশোধনীটা বর্তমানে কেবিনেট ডিভিশনে রয়েছে। এটি পাসের প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে গণমাধ্যম কর্মীরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আহবান জানান।  

ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাশ হলে দেশে আইনটি এফসিটিসি’র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে। ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন তরাণিত হবে।

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি, নিয়াজ মোর্শেদ, ঢাকা মেইলের সিনিয়র রির্পোটার ইমরুল কায়েস, ভোরের ডাকের ইমরুল কাওসার, বিটিভির খালিদ আহসান ও সাইফুল্লাহ সুমন,  এনটিভির এএসএম আতিক, জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার বায়জিদ হোসেন, যায়যায়দিনের সিনিয়র সাংবাদিক আলতাব হোসেন, ডেইলিস্টারের সিনিয়র রিপোর্টার রাসেদুল , এসিয়ান টিভির চিফ রিপোর্টার বাতেন বিপ্লবসহ অনেকে।   

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)