বিপৎসীমার মাঝামাঝি ওঠানামা করছে তিস্তার পানি
লালমনিরহাটের কয়েকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ওঠানামা করছে। এতে তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত ও রাস্তাঘাটগুলো তলিয়ে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৭ মিটারের নিচ প্রবাহিত হয়। এর আগে সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)।
নদীর পানি কমা-বাড়ার কারণে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে দোয়ানি ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে ভাটি এলাকায় পানির চাপ বাড়ছে। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, সকালের দিকে ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর সকাল ৯টার দিকে আবার পানি কমে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ১০-১২ দিন আগে তিস্তার পানির ঘরবাড়িতে প্রবেশ করে। এতে প্রায় ৬ মেট্রিক টন চাউল প্রথম দফায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তিস্তা পাড়ের লোকজনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
এস.বি-সুজন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি