রাণীশংকৈলে জিরা, আদা ও কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

Generic placeholder image
  Ashfak

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জিরা, আদা ও কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯৬০ থেকে ১০০০ টাকা। এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। আর আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। এতে চরম বিপাকে পড়েছে উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত দুই-তিন দিনের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫০ টাকা। আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০০ টাকা, কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।

বুধবার (২৮ জুন) বিকালে পৌর শহরের সবচেয়ে বড় কলেজ হাট ও শিবদিঘি কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯৬০- ১০০০ টাকা, আদা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০- ৪৪০ টাকা। আর কাঁচা মরিচ ১৮০ থেক  ২০০ টাকা কেজি। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম। অপরদিকে ঈদকে সামনে রেখে সিন্ডিকেট করে পরিকল্পিতভাবে এসব নিত্য পণ্যরে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে কাঁচা বাজারের দোকান গুলোতে কোন মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি।

রাণীশংকৈল কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ইব্রাহীম আলী ও জাকির হোসেন বলেন, গত দুই-তিন দিন থেকে আদা ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। আমরা যেভাবে পাইকারি বাজার থেকে কিনি সেই হারে সামান্য লাভ ধরে বিক্রি করি। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের হাত নেই। ঈদকে সামনে রেখে আদার চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে।
অপর এক ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক জানান, প্রতি কেজি আদা কিনতে হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়। আর কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।

কলেজ হাটে আসা রোকসানা পারভীন নামে এক ক্রেতা জানান, আজ বাদে কাল ঈদ। মুসলিমদের সবচাইতে বড় এই ঈদে আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচ সবচাইতে দরকারি। অথচ এর দাম আকাশ চুম্বী। এটা ভাবাই যায় না।
জিরা, আদা ও কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ফরমান আলী ও জামালউদ্দিন বলেন, আদার ও জিরার দাম অতিরিক্ত। সামনে ঈদ। মাংস তো জিরা ও আদা ছাড়া খাওয়া সম্ভব নয়। মরিচের দামও বেশি। এ অবস্থায় আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের অবস্থা বেগতিক। প্রশাসনের বাজার তদারকি করা দরকার।
ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শেখ শাদী বলেন, আমরা বাজার তদারকি করছি। পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)