টঙ্গীর সংবাদকর্মীদের সাথে ইজতেমায় অংশ নেয়া পশ্চিমবঙ্গের গণশিক্ষা সম্প্রসারণ ও গ্রন্থাগার মন্ত্রীর মতবিনিময়

Generic placeholder image
  Ashfak

মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীতে কর্মরত দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সংবাদকর্মীদের সাথে উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরস্থ আলহাজ¦ মো. নাজিম হাসানের নিজ বাসভবনে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ^ ইজতেমা, তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম, ভারত বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতির মাঝে দু-দেশের সম্পর্কসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেছেন বিশ^ ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নেয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গন-শিক্ষা সম্প্রচার ও গ্রন্থাগার সেবা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী সিদ্দিক চৌধুরী। এ সময় রাজধানী ঢাকার উত্তরা, তুরাগ এলাকার জনপ্রিয় আওয়ামীলগ নেতা এবং ঢাকা ১৮ সংসদীয় আসনের সাংসদ আলহাজ¦ মো হাবিব হাসান এমপি এবং বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক ও তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বীদের একজন আলহাজ¦ মো.নাজিম হাসানসহ জমিয়তে ওলামা ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা মো. ওবায়দুল্লাহ ফারুক, সহ-সভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মো. তোফাজ্জল হক আজিজ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলঅনা মো. লোকমান মাজহারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. নাজমুল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মুফতি মো. জাকির হোসাইন কাসেমী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা. মো. জয়নাল আবেদীন, মুফতি মো. মাসউদুল কারীম, মাওলানা মো. মতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা মো. জাবের কাসেমী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মত-বিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, তাবলিগী জামাতের ভাইদের সহযোগীতায় বাংলাদেশে আসার ভিসা আমি পেয়েছিলাম, আমি ওদের তথ্যাবধানে এবং সুন্দর ব্যবস্থাপনায় ইজতেমা ময়দানে ৩ দিন ছিলাম। প্রথমত তাবলিগ জামাতের যে শৃংখলাবদ্ধ অবস্থা- এাঁ সারা পৃথিবীর কাছে একটা মডেল, এাঁ কেউ স্বীকার করবেন কউে করবেন না সেটা স্বতন্ত্র। ইসলাম ধর্মে শিক্ষা ও হুজুর এনায়েতদ্বীনির নীতি আর্দশ মূলত তাদের পাথেয়। তাবলিগীরা যথেষ্ট দায়িত্ব পরায়ন। আমি এতে উদ্দিপ্ত ও আনন্দিত হয়েছি। এত বড় সমাগম এবং সূ-শৃংখল পরায়নের চেহারা ও ব্যবস্থাপনা এটাঁ গ্রহনীয় বরণীয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই খেদমতকে জামাতের এই কাজকে কবুল করে নেন। খতিনার হাত থেকে জামাতকে বাঁচান। এখানকার সরকার ও প্রশাসনের আন্তরিকতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একদিকে যেমন জামাতীরা কাজ করছেন, অন্যদিকে প্রশাসনের লোকজনও কিন্ত কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরপওে আমি একজন ভারতীয় নাগরিক, আমরা ভারতবর্ষের সম্মিলিত জাতীয়তাবাদের পক্ষে, ভারতবর্ষ ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র, ভারত বর্ষের সংবিধান পৃথিবীর বৃহত্তর গনতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার এতে কোন সন্দেহ নাই, আমাদের বুজুর্ঘাদ্বীন এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারত বর্ষে স্বাধীন ভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা পরিচালনা এবং জামাতী ভাইদেও আচরণ বিচরণসহ মাহফিল জলসা হয়ে থাকে। বাঁধাপ্রাপ্ত আমরা হই না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানে দূর্বৃত্তের মানুষেরা থাকেন-তারা গোলমান পাকানোর চেষ্টা করেন। যাঁরা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেন তাদের সংখ্যা কম ভালো মানুষের সংখ্যা বেশী। সম্মিলিত জাতীয়তাবাদের কারণে ভারত বষের ১শ ৪০ কোটি মানুষ একত্রে বসবাস করেন এবং পশ্চিমবঙ্গ ১০ কোটি মানুষ বাস করেন। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যাণার্জীর সর্ম্পকে অনেক বন্ধু ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মমতা ব্যাণার্জী একজন কর্মট এবং বিচক্ষন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আমি ভাবিওনি কেউ কিছু বলবে, এসব প্রশংসা শুনে আমি উল্লাসিত হয়েছি। কারণ আমি মুখ্যমন্ত্রীর কেবিনের মন্ত্রী, যে মমতা ব্যনার্জী সম্পর্কে তারা এ কথা বলেছেন।বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ, কোরান হাদিসের দেশ। বাড়ি, পাড়া যেমন প্রতিবেশী হয় -দশও তেমনি প্রতিবেশী,পশ্চিমবঙ্গের সাথে ২ হাজার ২শ কিলোমিটার ৯ টি জেলার সাথে বাংলাদেশের প্রত্যক্ষভ সীমান্ত। স্বভাবতই আমাদের সীমান্তে আমরা আর বাংলাদেশের সীমান্তে এদেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকবে এটাঁই আমার প্রত্যাশা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গন-শিক্ষা সম্প্রচার ও গ্রন্থাগার সেবা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী সিদ্দিক চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের দেয়া বিশ^ ইজতেমার বিশাল জমিতে আজ সারা বিশে^র ধর্মপ্রাণ তাবলিগ জামাত অনুসারী মুসল্লিরা একত্র হয়ে ইসলামের আর্দশ ও উদ্দেশ্য নিয়ে দিন দুনিয়া ও আখেরাতের কাজ করছেন। মত ভেদাভেদ ভূলে ধর্ম প্রচার করছেন। এদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং আমাদের বোন শেখ হাসিনা ময়দানের উন্নয়নে এবং দেশ-বিদেশ থেকে বিশ^ ইজতেমায় অংশ নেয়া তাবলিগ জামাতের মুসল্লি ও মুরব্বীদের সুবিধার্থে পিতার ন্যায় কাজ করে চলেছেন। এদেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থা, প্রচার মাধ্যম তাবলিগ জামাতের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। এ জন্য আমি একজন কেবিনেট সদস্য হিসেবে সমগ্র ভারতবাসী এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদ, এমপি, সিটি মেয়র, আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন সংস্থা, সংবাদ মাধ্যম ও সংবাদকর্মীসহ সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

মৃণাল চৌধুরী সৈকত, টঙ্গী
 

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)